রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের উপর কড়া শুল্ক আরোপের পর প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারে তাঁর সুর নরম করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের উপর জোর দিয়ে দাবি করেছেন, মোদি ও তাঁর খুবই ঘনিষ্ট সম্পর্ক। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি প্রশংসাবার্তা পোস্ট করার মাত্র দুদিন পর ট্রাম্প আবারও তাঁদের এই ‘ভালো’ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বলেন, “আমি ভারতের খুব কাছাকাছি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীরও খুব কাছাকাছি। কয়েকদিন আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো।” তিনি আরও বলেন, “দেখতে পাচ্ছিলাম ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়া থেকে ক্রমাগত তেল কিনে যাচ্ছে। কিন্তু আমি রাশিয়ার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছি। চিন এখন খুব বড় অঙ্কের শুল্ক দিচ্ছে আমেরিকাকে। কিন্তু আমি অন্য কিছুও করতে চাই। যদি তেলের দাম কম থাকে, তা হলে রাশিয়াও আলোচনার টেবিলে বসবে। তেলের দাম কমছেও।”
অতীতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্প বারবার ভারতের সমালোচনা করেছেন এবং শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদী জি৭ সম্মেলনের পর ট্রাম্পের দেওয়া ডিনারের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তাঁর পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করেন। এই প্রসঙ্গে ভারত বরাবরই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা কোনও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে না। ভারতীয় কর্মকর্তারা উলটে পশ্চিমের দেশগুলোকেই এই ‘ভণ্ডামি’র জন্য অভিযুক্ত করেছেন, কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের রুশ পণ্য কিনছে। তবে বিগত সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্পের মনোভাব উল্লেখযোগ্যভাবে নরম হয়েছে। এর কারণ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া বাণিজ্যিক আলোচনার সম্ভাবনাকেই দেখা হচ্ছে।