লক্ষীর ভান্ডার-কে টেক্কা! মহিলাদের একাউন্টে ১০,০০০ দেওয়ার ঘোষণা মোদি সরকারের – Central Government Scheme

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Central Government Scheme: রাজ্য সরকার সাধারণত রাজ্যবাসীর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে উপকৃত করেছেন।ঠিক সেই জায়গায় দাড়িয়ে কেন্দ্র সরকারও থেমে নেই, কেন্দ্র সরকার কর্তৃক রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পকে টাকা দিয়ে নতুন এক প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে, সবচেয়ে বড় কথা হলো লক্ষীর ভান্ডার থেকে অনেক গুন বেশি অনুদান দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে । এই প্রকল্পের লক্ষ্য একটাই — মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তোলা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগে উৎসাহ প্রদান

সম্প্রতি বিহার ভোট প্রচারে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, এবার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এবং মহিলাদের রোজগার সুনিশ্চিত করতে তাদের সরাসরি ১০ হাজার টাকা একাউন্টে দেওয়া হবে। তবে এই টাকা কিভাবে পাওয়া যাবে এবং কারা এই টাকা পাবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হল –

সম্পর্কিত পোস্ট

শুধু মোবাইল দিয়ে মাসে ₹৪৫,০০০ আয়, দোকান ছাড়াই শুরু করুন -Work From Home Business 2025

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম মহিলা রোজগার যোজনা

সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প বর্তমানে রাজ্যের মহিলাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাতা প্রকল্প। যেখানে প্রতি মাসে ₹১,০০০ (SC/ST-দের জন্য ₹১,২০০) করে ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মোদীর ‘মহিলা রোজগার যোজনা’ এক ধাপে এককালীন ₹১০,০০০ অর্থ সহায়তা দিয়ে সেই প্রকল্পকে কার্যত টেক্কা দিয়ে দিল।

এর পাশাপাশি, এই প্রকল্পে ভবিষ্যতে ₹২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ঋণের সুবিধা দিবে — যা পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নেই।

মহিলা রোজগার যোজনার মূল বৈশিষ্ট্য

এই প্রকল্পটি মূলত একটি রাজ্যে প্রয়োগ হলেও, এর কার্যকারিতা এবং প্রভাবকে সামনে রেখে আগামীতে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও তা চালু হতে পারে বলে মনে করছেন নানা বিশ্লেষকরা।

বিষয় বস্তু বিস্তারিত বিবরণ
প্রকল্পের নাম মহিলা রোজগার যোজনা
উদ্বোধনকারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
রাজ্য বিহার (২০২৫-এ চালু)
উপকৃত পরিবার প্রায় ৭৫ লক্ষ মহিলা
আর্থিক সহায়তা এককালীন ₹১০,০০০
ভবিষ্যতের সুবিধা ₹২,০০,০০০ পর্যন্ত ঋণ
অনুদানের পদ্ধতি DBT (ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার)
লক্ষ্য স্বনির্ভরতা, আত্মনির্ভর ভারত, নারী ক্ষমতায়ন
প্রয়োগ ক্ষেত্র কৃষি, পশুপালন, হস্তশিল্প, সেলাই, বয়ন, ক্ষুদ্র উদ্যোগ

এই প্রকল্পে কাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে?

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে এই প্রকল্প মূলত গ্রামীণ ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলোর নারীদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে । প্রতিটি পরিবার থেকে কমপক্ষে একজন মহিলা সদস্য এই অনুদান পেতে পারবেন বলে জানা যায়।

যে ক্ষেত্রগুলোতে এই অনুদান ব্যয় করা যেতে পারে, সেগুলি হল:

  1. কৃষিকাজ ও কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে
  2. পশুপালন বা দুগ্ধজাত ব্যবসা বৃদ্ধি
  3. হস্তশিল্প বা হ্যান্ডিক্র্যাফট কাজ
  4. দর্জি ও বয়ন কাজ
  5. ছোট ব্যবসা বা নিজস্ব উদ্যোগ
  6. স্থানীয় বাজারে পণ্য বিক্রির প্রস্তুতি

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য: ‘আত্মনির্ভর ভারতের নারীকেন্দ্রিক রূপরেখা’

ঐদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন,

“এই লক্ষ লক্ষ মা-বোনেদের জন্য আজ আমরা একটি নতুন দিক খুলে দিচ্ছি। আত্মনির্ভর ভারত তখনই বাস্তব হবে, যখন আমাদের মা-বোনেরা আর্থিকভাবে স্বাধীন হয়ে যাবে। এই প্রকল্প তাঁদের স্বপ্নপূরণের এক নতুন সিঁড়ি।”

কমিউনিটি লেভেলে প্রশিক্ষণ ও বিকাশে জোর

মহিলা রোজগার যোজনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল শুধু অর্থ বৃদ্ধি নয়, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে প্রশিক্ষণ ও মার্কেট সংযোগও। এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্লকে থাকবে কমিউনিটি রিসোর্স পার্সন, যারা মহিলাদের ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং বিক্রির রূপরেখা তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে।

রাজ্য সরকার একাধিক গ্রামীণ হাট-বাজারের উন্নয়ন ঘটাবে, যাতে এই মহিলারা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য সহজে বিক্রি করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞ মত: রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রকল্প শুধুমাত্র একটি আর্থিক অনুদান নয় — এটি ২০২৫-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি বড় কৌশল। এই প্রকল্প মহিলাদের স্বনির্ভর করার পাশাপাশি, রাজনৈতিকভাবে তাঁদের সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা করছে।

সমাজতত্ত্ববিদদের মতে, এই প্রকল্প যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে, তবে গ্রামীণ মহিলাদের জীবনে এটি বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারে। যেখানে একজন মহিলা নিজের আয়ের অধিকারী হন, সেখানেই পরিবার, সমাজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তন সূচিত হয়ে থাকে।

এই প্রকল্পের সুবিধা সংক্ষেপে (Table)

সুবিধা বিস্তারিত
এককালীন অনুদান ₹১০,০০০ ডাইরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার
অতিরিক্ত ঋণ ₹২,০০,০০০ পর্যন্ত
প্রশিক্ষণ কমিউনিটি রিসোর্স পার্সনদের মাধ্যমে
ব্যবসার সুযোগ কৃষি, পশুপালন, হস্তশিল্প, সেলাই, বয়ন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ
মার্কেট সংযোগ গ্রামীণ হাট ও বিক্রয় কেন্দ্রের উন্নয়ন
নারী ক্ষমতায়ন আর্থিক ও সামাজিকভাবে

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

Q1: মহিলা রোজগার যোজনা কোথায় শুরু হয়েছে?
উত্তর: এই প্রকল্প ২০২৫ সালে বিহার রাজ্যে শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য রাজ্যে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Q2: এই প্রকল্পে কিভাবে টাকা দেওয়া হয়?
উত্তর: ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT) পদ্ধতিতে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ₹১০,০০০ টাকা পাঠানো হয়।

Q3: কি ধরনের কাজে এই টাকা ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর: কৃষিকাজ, পশুপালন, দর্জি, হস্তশিল্প, ছোট ব্যবসা, বেকারি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি।

Q4: একজন মহিলা কি পরবর্তীতে আরও ঋণ পেতে পারেন?
উত্তর: হ্যাঁ, প্রথম ধাপে অনুদান পাওয়ার পর, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা থাকলে ₹২,০০,০০০ পর্যন্ত ঋণের সুযোগ থাকবে।

Q5: পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা কি এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন?
উত্তর: বর্তমানে এটি শুধুমাত্র বিহারে প্রযোজ্য, তবে ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প হিসেবে অন্যান্য রাজ্যেও চালু হতে পারে।

পরিশেষে বলা যায়, ‘মহিলা রোজগার যোজনা ২০২৫’ একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ যা শুধুমাত্র অর্থ নয়, আত্মবিশ্বাস ও সম্মানের বার্তা অনেছে। এর মাধ্যমে ভারতীয় নারীরা আরও স্বনির্ভর হয়ে দাড়াবে, আত্মবিশ্বাসী এবং সামাজিকভাবে ক্ষমতাবান হবেন।

যদি এই প্রকল্প সঠিকভাবে অন্যান্য রাজ্যেও বাস্তবায়িত হয়ে থাকে, তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো বহু জনপ্রিয় প্রকল্পকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে এই প্রকল্পে প্রাথমিক অনুদান পরিমাণ, ব্যবসার স্বাধীনতা এবং সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ—এই তিনটি স্তম্ভের মাধ্যমে একটি নারীকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন

Jio দিচ্ছে 84 দিন আনলিমিটেট শুধু ₹3XX টাকায়, দেখুন বিস্তারিত – Jio Unlimited Offer

NJ Team Writes content for 5 years. I have well experience in writing content in different niches. Please follow us regularly for getting genuine and authentic information.

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন