উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই প্রস্তাব পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনও এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি হামাস। এবার হামাসকে ৭২ ঘন্টা থেকে ৯৬ ঘন্টা পর্যন্ত (৩-৪ দিন) সময় বেঁধে দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। সঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘শান্তিচুক্তি না হলে করুণ পরিণতি হবে!’
সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, ২০ দফার প্রস্তাবে সব পক্ষই রাজি। শুধু হামাস কোনও জবাব দেয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সব আরব দেশই শান্তি প্রস্তাবে রাজি। ইজ়রায়েল, এমনকি মুসলিম দেশগুলিও রাজি। আমরা হামাসের জন্য অপেক্ষা করছি। হামাস হয়তো রাজি হবে কিংবা হবে না। যদি না হয়, সে ক্ষেত্রে করুণ পরিণতি হবে।’
ট্রাম্প যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, আপাতত গাজায় অরাজনৈতিক সরকার তৈরি করা হবে। এই সরকারে প্যালেস্টাইনিরাও অংশ নিতে পারবেন। তবে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। প্যালেস্টাইনিদের গাজা ছেড়ে যেতে হবে না। হামাস রাজি থাকলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের সমস্ত ইজরায়েলি পণবন্দিদের ছেড়ে দিতে হবে। বিনিময়ে ইজরায়েলে জেলে বন্দি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২৫০ জন প্যালেস্টাইনিকে ছেড়ে দেবেন নেতানিয়াহুরা। দু’পক্ষ প্রস্তাবে রাজি হলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। তবে প্রস্তাবের শর্তগুলি মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বোর্ড অফ পিস’ নামে এই কমিটির চেয়ারম্যান হবেন ট্রাম্প নিজেই। সদস্য হিসাবে খাকছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। বাকি সদস্যদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।