উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে অবসানের পথে ইজরায়েল (Israel) ও হামাসের (Hamas) মধ্যে সংঘাত। গাজায় শান্তি চুক্তির জন্য মিশরের কায়রোতে তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) জানিয়েছেন, তাঁর দেওয়া প্রস্তাবেই দুই পক্ষ প্রথম ধাপে শান্তি চুক্তিতে রাজি হয়েছে। এতে প্রথম পর্যায়ের চুক্তিতে সইও করেছে হামাস এবং ইজরায়েল। ওই বৈঠকেই ইজরায়েলের কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি শীর্ষ নেতাদের মুক্তিদের দাবি জানিয়েছে হামাস। বদলে ইজরায়েলের বন্দিদেরও তারা মুক্তি দেবে।
দু’বছর ধরে চলতে থাকা গাজার যুদ্ধ থামাতে ইজরায়েল, হামাস এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে শান্তি চুক্তি করতে চাইছেন ট্রাম্প। মূলত ট্রাম্পের উদ্যোগেই হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইজরায়েল। এমনটাই দাবি ট্রাম্পের।
অন্য দিকে, বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প জানালেন, চলতি সপ্তাহে রবিবার তিনি পশ্চিম এশিয়ায় আসতে পারেন। কারণ গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে অনেক কাছাকাছি জায়গায় চলে এসেছে হামাস এবং ইজরায়েল। এজন্যই রবিবার তিনি পশ্চিম এশিয়ায় আসবেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ‘হামাসের সঙ্গে এনিয়ে চূড়ান্ত বোঝাপড়া এবং আলোচনা চলছে। আমি পশ্চিম এশিয়ার সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এটা নিয়ে হামাস এবং অনেক দেশের সঙ্গে ভালোভাবে আলোচনা চলছে। সত্যি যদি তাই হয়, তাহলে আমরা সম্ভবত রবিবারের আগেই শনিবার সেখানে চলে যাব।’
এদিকে হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে যে আলোচনা চলছে তাতে যোগ দিয়েছেন ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনার। সেখান থেকে ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন উইটকফ। তার পরেই ট্রাম্প ওই শান্তি চুক্তির ঘোষণাটি করেন।
গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাতে সম্মতি জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আবার ট্রাম্পের দেওয়া অধিকাংশ প্রস্তাবও মেনে নিয়েছে হামাস। তারপরেই এই বৈঠকের আয়োজন। যুদ্ধ বন্ধ হলে তার পরে গাজার শাসনব্যবস্থা কোন পথে এগোবে সেই নির্দেশেও দিয়েছেন ট্রাম্প।