উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) নয়, শান্তিতে নোবেলের (Nobel Peace Prize 2025) জন্য বেছে নেওয়া হল ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে (María Corina Machado)। শুক্রবার ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ, নোবেল কমিটির তরফে এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে বেছে নেওয়া হয় ভেনেজুয়েলার এই রাজনীতিবিদকে। মারিয়াকে সেখানকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার ফলশ্রুতিতে এই পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
রাজনৈতিক-সামরিক-অর্থনৈতিকভাবে সারা পৃথিবীতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসার পর থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার লক্ষ্যে বারবার বিবৃতি দিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। গত তিন মাস ধরে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কমপক্ষে ১০টি অনুষ্ঠানে পুরস্কারের জন্য প্রচার শুরু করেছিলেন, যার মধ্যে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি ভাষণও ছিল।
ট্রাম্প নিজেকে ‘ছয় থেকে সাতটি সংঘাত’ শেষ করার জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের সম্প্রতি সামরিক উত্তেজনার বিষয়টিও উঠে আসে। তিনি বিভিন্নভাবে এগুলিকে ‘অনিঃশেষ যুদ্ধ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। পাকিস্তানের মতো পেটোয়া দেশকে দিয়ে নোবেল পুরস্কারের জন্য নিজের নাম পর্যন্ত প্রস্তাব করিয়েছেন। গত জুলাই মাসে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁর আবদার রেখে, ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন।
নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুতে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমার কোন ধারণা নেই… মার্কো (রুবিও) আপনাকে বলবেন যে আমরা সাতটি যুদ্ধের মীমাংসা করেছি। আমরা অষ্টম যুদ্ধের মীমাংসার কাছাকাছি… আমার মনে হয় আমরা রাশিয়ার পরিস্থিতির মীমাংসার কাছাকাছি… আমার মনে হয় না ইতিহাসে কেউ এত যুদ্ধের মীমাংসা করতে পেরেছে। তবে হয়তো তারা আমাকে এটি না দেওয়ার কারণ খুঁজবে। এমন একজনকে এই পুরস্কার দেবে যে কিছুই করেনি।’
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ট্রাম্পের পক্ষে এবছর নোবেল পাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। কারণ নোবেলের মনোয়ন নেওয়ার সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। সেই সময় সদ্যই হোয়াইট হাউসে ক্ষমতাসীন হয়েছেন ট্রাম্প। ফলে যে ৩৩০টি মনোনয়নের মধ্যে থেকে শান্তি পুরস্কার প্রাপককে বাছাই করা হয়েছে তার মধ্যে ট্রাম্প ছিলেনই না। তবে ২০২৬ সালের নোবেলের জন্য একাধিক মনোনয়ন পেলে ট্রাম্পের নাম বিবেচনায় আসতে পারে। তবে তারজন্য গাজায় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সঠিক অর্থে অবসান হওয়া প্রয়োজন।














