দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা ওডিশার বালেশ্বরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে দুর্গাপুরে এলেন বালেশ্বরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ ষড়ঙ্গি। সাংসদের সঙ্গে এসেছেন ওডিশার তিন বিজেপি বিধায়ক, রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী সহ ৩৫ জনের একটি দল। দুর্গাপুরে পা রেখেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ ষড়ঙ্গি। সরব হলেন বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।
এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ ওডিশার বিজেপি সাংসদের নেতৃত্ব ৩৫ সদস্যের একটি বিজেপির প্রতিনিধি দল দুর্গাপুরে ঐ বেসরকারি হাসপাতালে আসেন। কিন্তু তাদের হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। আগে থেকেই হাসপাতাল চত্ত্বরে লোহার ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল যাতে কেউ ভেতরে যেতে না পারেন। ব্যারিকেডের একদিকে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ নিরাপত্তা রক্ষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা সব জায়গায় জানিয়ে এসেছি। কেন আমাদেরকে আটকানো হচ্ছে?” যা নিয়ে বেশ কিছুক্ষন ধরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীদের কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনায় হাসপাতাল চত্ত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেখানে আসেন হাসপাতালের এক আধিকারিক। তিনি বিজেপি সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আধঘন্টা পরে সাংসদ ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী সহ ১০ জনকে হাসপাতালে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
পরে সাংসদ বলেন, “আমরা ১০ জন ঢুকলেও মেডিকেল সুপারের সঙ্গে কথা বলে আমি, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বাবাকে নিয়ে মেয়েটির কাছে যাই। তিনি খুব হতাশাগ্রস্ত আছেন। একইসাথে সে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। আমরা তার কনফিডেন্স বিল্ড আপ করার চেষ্টা করেছি। আমরা ২৫ মিনিটের মতো তার কাছে ছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা নৃশংস, পৈশাচিক, জঘন্যতম। অথচ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একজন মহিলা হয়ে তিনি এমন করতে পারেন?”