দুর্গত এলাকায় রাজ্যের প্রতিনিধি দল পাঠানোর আবেদন সুমনের, সহমত পোষণ স্পিকারের  

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

আলিপুরদুয়ার: সম্প্রতি অতিবৃষ্টি এবং ধসের কারণে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের পাহাড়-ডুয়ার্সে। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৩৫ জনের। অন্যান্য জেলাগুলির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভুটান লাগোয়া জেলা আলিপুরদুয়ারের বেশ কয়েকটি এলাকা। ঘটনার পরেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বিধানসভার প্রতিনিধি দল পাঠানোর আবেদন জানিয়ে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।

প্রবলবর্ষণে গত ৪ ও ৫ অক্টোবর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় আলিপুরদুয়ার জেলার শালকুমারহাট, কালচিনি ও কুমারগ্রাম ব্লকের বিস্তির্ন এলাকা। বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শণে এসেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেই বিধানসভার প্রতিনিধি দল পাঠানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি দিলেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। বুধবার বিধায়ক সুমন কলকাতায় বিধানসভার স্পিকারের হাতে চিঠি তুলে দেন। স্পিকারও এদিন সুমনের দাবিকে সমর্থন করেছেন।

চিঠি পেয়ে এদিন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিধানসভার প্রতিনিধি পাঠানোর আবেদন জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। ভুটানের নদীর জল  এবং ডলোমাইটে ওই জেলায় প্রচুর ক্ষতি করেছে। আমি চিঠির বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “আমাদের বিধানসভায় ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন গঠনের রেজুলেশন করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলে গত ৪ ও ৫ তারিখ ভুটানের জলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয় ডুয়ার্স-পাহাড়ে। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে নিশ্চুপ সেখানে অবশ্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সব ধরনের সাহায্যই করছেন। তবুও এদিন বিধানসভার স্পিকারের কাছে একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।”

বুধবার বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। বৈঠক শেষেই তিনি বিধানসভার স্পিকারের ঘরে যান। সেখানে সাম্প্রতিক ভুটানের বৃষ্টি ও নদীর জলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তারিত জানান। এমনকি জেলার কালচিনি থেকে কুমারগ্রাম এবং আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে যে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে তা স্পিকারের সামনে তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করছে না বলেও অভিযোগ তোলেন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরেও কেন্দ্রের কোনও প্রতিনিধি এলাকায় আসেনি। এই অবস্থাতেই বিধানসভার স্পিকারের তত্ত্বাবধানে একটি প্রতিনিধি দল জেলায় পাঠানোর আবেদন করেন সুমন। এই প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে যাতে একটি রিপোর্টও দেন তার আবেদনও করেন বিধায়ক।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন