TET Case: শিক্ষকদের পাশে রাজ্য সরকার! টেট মামলায় নবান্নের সবুজ সংকেতের পর সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

TET Case: পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষকদের টেট ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপটি কর্মরত প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যারা টেট উত্তীর্ণ নন। রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তটি হাজার হাজার শিক্ষকের জন্য আশার আলো।

মূল বিষয়

পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় পুনর্বিবেচনার জন্য একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই রায়ে বলা হয়েছে যে, কর্মরত প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিক শিক্ষকদের অবশ্যই টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপটি সেই সমস্ত শিক্ষকদের জন্য একটি আশার আলো, যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন কিন্তু তাদের টেট যোগ্যতা নেই।

নবান্নের অনুমোদন

শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়েছিল এবং রাজ্য সরকার অবশেষে এই রিভিউ পিটিশনের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর পরেই বিকাশ ভবন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এই খবরটি রাজ্যের লক্ষ লক্ষ শিক্ষক এবং তাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষকদের উদ্বেগ

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা, বিশেষ করে যারা গত ১৫-২০ বছর ধরে চাকরি করছেন, তারা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। এই রায় তাদের কর্মজীবনের ওপর একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ তাদের জন্য একটি বড় স্বস্তি হতে পারে।

অন্যান্য রাজ্যের পরিস্থিতি

শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, কেরালা, উত্তর প্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যও এই একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। ত্রিপুরা অবশ্য টেট মধ্যতামূলক করতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা লড়ছে। এছাড়াও, আরও বেশ কিছু রাজ্য রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। এখন দেখার বিষয় হলো, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে এই সব মামলার শুনানি কবে হয় এবং তার ফলাফল কী হয়। অবশ্য সম্প্রতি একটি সংবাদ সূত্রে জানা গেছে যে, মামলাটি শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয়েছে।

এই রিভিউ পিটিশনের ফলাফল রাজ্য তথা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর একটি বড় প্রভাব ফেলবে। যদি রাজ্য সরকার ও শিক্ষকদের সংগঠনগুলি এই মামলায় জয়ী হয়, তাহলে হাজার হাজার শিক্ষক তাদের চাকরি বজায় রাখতে পারবেন। আর যদি ফলাফল প্রতিকূল হয়, তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় সংকট তৈরি হতে পারে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন