SIR Form: SIR ফর্ম জমা না দিলে কী হবে? ফর্ম পূরণ থেকে জমা দেওয়ার সম্পূর্ণ নির্দেশিকা জানুন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

SIR Form: এসআইআর (SIR) ফর্ম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই ফর্মটি কেন পূরণ করতে হবে, জমা না দিলে কী হবে, অথবা কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করা উচিত, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। এই প্রতিবেদনে আমরা SIR ফর্ম সংক্রান্ত আপনার সমস্ত সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে আপনি সহজেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বুঝতে পারেন।

ফর্ম জমা না দিলে কী হবে?

অনেকের মনেই প্রথম প্রশ্ন হলো, ফর্ম হাতে পাওয়ার পর তা জমা না দিলে কোনো সমস্যা হবে কিনা। উত্তরটি হলো, হ্যাঁ, সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি ফর্মটি গ্রহণ করে থাকেন, তবে তা অবশ্যই জমা দিতে হবে। ফর্ম জমা না দিলে আপনার নাম খসড়া ভোটার তালিকায় (Draft Roll) অন্তর্ভুক্ত হবে না। এর ফলে, ভবিষ্যতে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন এবং এমনকি আপনার বাড়িতে এই বিষয়ে নোটিশও আসতে পারে। তাই ফর্মটি পেয়ে গেলে দায়িত্ব সহকারে পূরণ করে জমা দিন।

ফর্ম পূরণের সঠিক নিয়মাবলী

ফর্মটি নির্ভুলভাবে পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। ছোটখাটো ভুলের জন্যেও অনেক সময় সমস্যা হতে পারে। নিচে ফর্ম পূরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা দেওয়া হলো:

  • ভাষা: ফর্মটি যেহেতু বাংলায় এসেছে, তাই আপনি বাংলাতেই এটি পূরণ করতে পারেন। তবে যদি কেউ ইংরেজিতে পূরণ করতে ইচ্ছুক হন, তবে অবশ্যই সমস্ত অক্ষর বড় হাতের (Capital Letters) অক্ষরে লিখতে হবে।
  • কালি: ফর্ম পূরণের জন্য আপনি নীল অথবা কালো কালির বল পয়েন্ট পেন ব্যবহার করতে পারেন।
  • সংখ্যা লিখন: এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি ফর্মটি বাংলাতে পূরণ করলেও, সমস্ত সংখ্যা বা ডিজিট (যেমন – আধার নম্বর, ফোন নম্বর ইত্যাদি) অবশ্যই ইংরেজিতে (1, 2, 3) লিখতে হবে। বাংলা সংখ্যা (১, ২, ৩) ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে আপনার নাম, বাবার নাম, বা বিধানসভা কেন্দ্রের নাম বাংলায় লিখতে পারেন।

ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা এবং পদ্ধতি

ফর্ম হাতে পাওয়ার পর জমা দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য প্রায় এক মাস সময় পাবেন। তবে একেবারে শেষ দিনের জন্য অপেক্ষা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

কিছু জরুরি পরামর্শ:

  • ফর্মটি হাতে পাওয়ার সাথে সাথে একটি জেরক্স (Photocopy) করে নিন।
  • প্রথমে জেরক্স কপিতে সমস্ত তথ্য পূরণ করে অনুশীলন করুন।
  • সব তথ্য ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পর মূল ফর্মটি পূরণ করুন।
  • আপনার এলাকার বিএলও (BLO) আপনাকে জানিয়ে দেবেন কবে তিনি ফর্ম সংগ্রহ করতে আসবেন। প্রয়োজনে আপনি তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জেনে নিতে পারেন।

মৃত ভোটার বা নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে কী করণীয়?

মৃত ভোটার: যদি আপনার কোনো আত্মীয় সম্প্রতি মারা গিয়ে থাকেন এবং তার নামে ফর্ম আসে, তবে চিন্তার কারণ নেই। বিএলও-দের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মৃত ভোটারদের নামে আসা ফর্ম বাড়িতে দেওয়া হবে না। সেই ফর্মগুলি বিএলও-র কাছেই থাকবে এবং তিনি তা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেবেন।

নতুন ভোটার: যারা সম্প্রতি ১৮ বছর বয়সে পৌঁছেছেন, তাদের জন্য নতুন ভোটার কার্ডের কাজ চলছে। তারা আলাদা ফর্ম পূরণ করে নতুন ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করার জন্য জমা দিতে পারবেন।

২০০২ সালের ভোটার তালিকা সংক্রান্ত সমস্যা

যদি ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আপনার বা আপনার বাবা-মা, দাদু-ঠাকুমার নাম না থাকে, তাহলেও আপনার নামে ফর্ম ইস্যু হলে তা অবশ্যই পূরণ করে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে, ফর্মের নিচের দিকে ২০০২ সালের তালিকা সংক্রান্ত কলামগুলি আপনাকে পূরণ করতে হবে না, সেগুলি ফাঁকা রাখতে হবে। ফর্ম জমা দেওয়ার পর ড্রাফট রোলে আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত হবে। এরপর আপনার ঠিকানায় একটি নোটিশ আসবে এবং আপনাকে কারণ দর্শাতে হবে কেন ২০০২ সালের তালিকায় আপনার বা আপনার পরিবারের নাম ছিল না। তখন নির্দিষ্ট ১১টি ডকুমেন্টের মধ্যে যেকোনো একটি জমা দিলেই আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন