১ নভেম্বর থেকে বদলে গিয়েছে ব্যাঙ্ক KYC-র নিয়ম! ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুললে অবশ্যই জানুন – Kajer Subidha

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

আপনার যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। কারণ, গত ১ নভেম্বর থেকে বদলে গিয়েছে KYC-র নিয়ম। হ্যাঁ, আপনি যদি সময় মতো KYC আপডেট না করেন, তাহলে ব্যাংক থেকে টাকা তোলা বা টাকা জমা করা, এমনকি অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের সময়ও আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা।

কী এই KYC?

প্রথমেই জানিয়ে রাখি, KYC বা নো ইওর কাস্টমার হল এমন একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে থাকে। আর এর মূল উদ্দেশ্য হল আর্থিক প্রতারণা কমানো, সন্ত্রাসের অর্থ দমন বন্ধ করা আর গ্রাহকদের বৈধ পরিচয়পত্রের প্রমাণ নেওয়া। অর্থাৎ, আপনি যে প্রকৃত ব্যক্তি এবং আপনি লেনদেন করছেন, তার প্রমাণ চায় ব্যাংক।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি কেওয়াইসি না করে, তাহলে সে নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। এমনকি লোন, ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিমাট অ্যাকাউন্ট সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি পুরনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করে দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ, KYC ছাড়া ব্যাংকিং পরিষেবা নিতে পারবেন না।

কত বছর অন্তর আপডেট করতে হবে KYC?

আইবিআই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে অ্যাকাউন্টে ঝুঁকি অনুযায়ী KYC আপডেটের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। লো রিক্স অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ বছর অন্তর একবার করে KYC আপডেট করতে হবে, মিডিয়াম রিস্ক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রতি ৮ বছর অন্তর একবার করে KYC আপডেট করতে হবে এবং হাই রিস্ক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রতি ২ বছর অন্তর KYC আপডেট করতে হবে।

তবে আরবিআই জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে কোনওরকম তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে KYC আপডেট করা যাবে না। ব্যাঙ্কগুলোকে নিজেদের গ্রাহকদের তথ্য যাচাই এবং রেকর্ড আপডেট করতে হবে। আর এর ফলে গ্রাহকদের ডেটা আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে।

KYC আপডেট করতে গেলে কী কী দিতে হবে?

KYC আপডেট করতে গেলে মূলত পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র দিতে হয়। পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে আপনি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে পারেন। তবে ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে আপনি আধার কার্ড, বিদ্যুৎ বিল, পাসপোর্ট, রেশন কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট ইত্যাদি দিতে পারেন।

কীভাবে করবেন KYC?

ব্যাংকের KYC মূলত তিনটি পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আর সেগুলি হল—

  • ফিজিক্যাল কেওয়াইসি, অর্থাৎ আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে নির্দিষ্ট KYC ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের সাথে ফটোকপি জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সেলফি বা ছবিও তুলতে হয়।
  • e-KYC, অর্থাৎ আধার কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে যাচাই. আপনি বাড়িতে বসে ওটিপি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে e-KYC করে নিতে পারবেন। 
  • ভিডিও কেওয়াইসি। অনেক ব্যাংক এখন ভিডিও কলেই KYC সম্পন্ন করিয়ে নেয়। গ্রাহককে ভিডিও কলে নিজের পরিচয়পত্র দেখালেই KYC প্রক্রিয়া মিটে যায়।

আরও পড়ুনঃ ₹10, ₹20, ₹100, ₹500 নিয়ে নতুন গাইডলাইন জারি করল RBI

কেন দরকার KYC আপডেট?

আসলে আপনি যদি সময় মতো KYC আপডেট না করেন, তাহলে আপনার ঠিকানা, মোবাইল নম্বর বা পরিচয়পত্র বদলালে ব্যাংক তা জানতে পারে না। এমনকি আরবিআই বা ব্যাংক যাচাই করতে চায়। সে জন্যই KYC আপডেট করতে হয়। তাই যদি KYC না করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তা সেরে নিন।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন