Post Office Scheme 2025: ভারত সরকার দেশের সাধারণ জনগণের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করে থাকেন। বর্তমানে ঠিক এমনই SSY প্রকল্প নামে নতুন এক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই SSY প্রকল্পের মাধ্যমে আপনারা মাত্র ৭০ টাকা বিনিয়োগ করে পেয়ে যাবেন ৭০,০০০০০ টাকা। তবে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে আপনার পরিবারে অবশ্যই কন্যা সন্তান থাকতে হবে। ভারতবর্ষের সকল নাগরিক আবেদনযোগ্য। নিম্নে প্রকল্প সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য যথা- SSY প্রকল্প কী, SSY প্রকল্পে আবেদনের যোগ্যতা, আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ পদ্ধতি, SSY প্রকল্পে কত টাকা প্রদান করতে হবে এবং কত টাকার সুবিধা পাওয়া যাবে প্রভৃতি আলোচনা করা হলো। তাই আগ্রহীরা প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত দেখে আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন।

সম্পর্কিত পোস্ট
পোস্ট অফিসে বিপুল পদে কর্মী নিয়োগ! পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে চাকরির সুযোগও, এখনই আবেদন করুন – Post Office Job Recruitment
SSY প্রকল্প :
বর্তমান ভারত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মহিলা স্বশক্তি করনের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। মহিলারা যাতে আত্মনির্ভর হতে পারে তাই ভারত সরকার একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। ব্রুনো হত্যা কমানোর লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কন্যা সন্তানদের বাঁচানোর লক্ষ্যে SSY প্রকল্প একটি অনন্য পদক্ষেপ। পরিবারে কন্যা সন্তান হলে পিতা-মাতার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারা মেয়ের ভরণপোষণ, লেখাপড়ার খরচ থেকে শুরু করে অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে অনাগ্রহী হন না।
যেহেতু বিয়ের পর মেয়েরা অন্য পরিবারের চলে যাবে তাই মেয়েদের প্রতি অবিচার যুগ যুগ ধরেই চলে এসেছে। ভারত সরকার একাধিক আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সমস্যা কিছুটা কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই এই সকল সমস্যা মেটাতে ভারত সরকারের SSY প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে পরিবারে কন্যা সন্তান রয়েছে তারা প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন ভারতীয় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। ভারতীয় পোস্ট অফিস SSY প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র ৭০ টাকা সময় সাপেক্ষে জমালেই পাওয়া যাবে প্রায় ৭০ লক্ষ্য টাকা।
আবেদন যোগ্যতা :
SSY প্রকল্পে আবেদনের জন্য আপনাদের ভারতীয় স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এবং পরিচয় পত্র হিসেবে যাবতীয় নথিপত্র থাকতে হবে। এছাড়াও আপনার পরিবারে কন্যা সন্তান থাকতে হবে। কন্যা সন্তান জন্মানোর প্রথম থেকে দশ বছরের মধ্যেই আপনাদের এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। পরবর্তীকালে আপনার কন্যা সন্তানের ১৮ বছর সম্পূর্ণ হলে প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
বিনিয়োগের সময়সীমা :
SSY প্রকল্পে আবেদনের জন্য আপনার মেয়ের বয়স যত কম থাকাকালীন আবেদন করতে পারবেন ততই বেশি সুবিধা পাবেন। SSY প্রকল্পের মাধ্যমে আপনাদের ন্যূনতম ১৫ বছর বিনিয়োগ করতে হবে। তারপর আপনার মেয়ের ১৮ বছর বয়স হলে টাকা তোলা যাবে অথবা আপনার মেয়ে যদি ১০ম শ্রেণি পাস করে তখনি টাকা তুলতে পারবেন। তবে এই দুই শর্তে ৫০% পর্যন্ত টাকা তোলা যায় (উচ্চ শিক্ষার জন্য) বাকি টাকা মেয়ের ২১ বছর বয়সে পুরোপুরি তোলা সম্ভব হবে।
আবেদন পদ্ধতি :
SSY প্রকল্পের মাধ্যমে আপনারা নাম নথিভুক্ত করতে চাইলে, নিকটবর্তী পোস্ট অফিস যেতে হবে। এছাড়াও আপনারা নিকটবর্তী এসবিআই, পিএনবি, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া নির্দিষ্ট শাখায়ও অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। উক্ত শাখায় যোগাযোগ করে SSY প্রকল্পে আবেদনের ফরমটি সংগ্রহ করতে হবে। ফ্রম সংগ্রহ করার পর তাতে উল্লেখিত আবেদনকারীর নাম ঠিকানা সহ বিস্তারিত নথি প্রদান করতে হবে। আবেদনের ফরম পূরণ হলে নির্দিষ্ট ঠিকানায় জমা করতে হবে। আবেদনকারীর নিম্নলিখিত নথিপত্র প্রয়োজন – মেয়ের জন্ম সনদ অর্থাৎ বার্থ সার্টিফিকেট। পরিচয় পত্র হিসেবে অভিভাবকের আধার / ভোটার কার্ড / প্যান কার্ড। ঠিকানার প্রমাণ পত্র, মেয়ের ও অভিভাবকের ছবি থাকতে হবে।
ভারত সরকারের SSY প্রকল্পের ৮.২% হারে সুদ প্রদান করা হয় যা অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়াও এই প্রকল্পে সরকারি কর ছাড় রয়েছে। যদি আপনি SSY প্রকল্পে ১৫ বছরের জন্য প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ টাকা করে বিনিয়োগ করে থাকেন তবে ২১ বছরে এই টাকার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৬৯,২৭,৫৭৮ টাকা। যা অন্যান্য সমসাময়িক কোন সরকারি প্রকল্পে দেওয়া হয় না। তাই আপনার মেয়ের আগামী ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করুন। এই প্রকল্প সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত তথ্য পেতে নিকটবর্তী ডাক বিভাগ অথবা ভারত সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন
রাজ্যে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, ছেলেমেয়ে সকলে আবেদন করুন – WB Data Entry Operator Recruitment














