বিভিন্ন বিতর্কের মাঝেই ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও ১১ রাজ্যে ভোটার কার্ড সংশোধনের কাজ শুরু করেছে মূখ্য নির্বাচন কমিশন, অর্থাৎ এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া। কিন্তু এই কাজকে ঘিরে নদীয়ার নবদ্বীপে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, নদীয়ার ৭৭ নম্বর নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের মায়াপুরে মায়াপুর ইসকনের ভক্তরা নিয়মিত ভোট দেন ঠাকুর ভক্তিবিনোদ নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।এসআইআর আবহ শুরু হলে সবাই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা নিজের নয়তো পরিবারের বাবা মায়ের নাম খুঁজেন।
জানা গিয়েছে, ৭৭ নম্বর নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে একসঙ্গে অন্তত ১০০ ভোটারের অভিভাবক হিসেবে একই ব্যক্তির নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশের পরই বিতর্ক শুরু হয়। একই ব্যক্তির নামে এত ভোটার থাকা স্থানীয়দের মধ্যেও বিস্ময় ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
২০০২ সালের ভোটার লিস্টে দেখা গেছে অন্তত ১০০ ভোটারের অভিভাবকের নামের জায়গায় লেখা‘ *জয়পতাকাস্বামী দাস’*। সম্পর্কের ক্ষেত্রে জয়পতাকা স্বামী দাস পিতার নাম হিসেবে উল্লেখ আছে ২০০২ সালের লিস্টে । এখন তালিকা সংশোধন হলে তাদের নাম কি থাকবে না, তা নিয়েই তারা চিন্তিত সেইসব ভোটাররা।
সূত্র মতে, ইসকনের এক আধিকারিক রসিকগৌরাঙ্গ দাস জানান, এ বিষয়ে যা করার নির্বাচন কমিশনই করবে। এছাড়াও বিষয়টি বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এবং বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে আশ্বাস দেন।
জানা গেছে, ওই এলাকার অনেকেই গ্রহণ করেছেন এবং সন্ন্যাস গ্রহণের পর অনেক ভক্ত সংসার ত্যাগ করেন। এর ফলে তারা গুরু মহারাজকে নিজেদের অভিভাবক হিসেবে বেছে নেন। তাই ভোটার কার্ডও প্রায়শই গুরু পিতার নাম দিয়ে রেখেছে, যা ধর্মীয় প্রথার অংশ হিসেবে দেখা উচিত তাঁরা মনে করছেন।
যদিও এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে।














