পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার কথা উঠলে প্রথমেই যে নামটি সামনে আসে তা হল লক্ষীর ভান্ডার। এই প্রকল্পে রাজ্যের কয়েক কোটি মহিলা ইতিমধ্যে উপকৃত হয়েছে। তবে সম্প্রতি এই প্রকল্প নিয়ে আবারও গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে, লক্ষীর ভান্ডারের ভাতা নাকি আবারও বাড়তে চলেছে।
বেশ কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বর মাসেই সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাত শ্রেণীর মহিলারা ১৮০০ টাকা করে ভাতা পেতে পারেন। তবে এই খবর কতটা সত্যি তা জানতে হলে অবশ্যই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের পরিচয়
জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পটি চালু করেছিল রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণির মহিলারা ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা ১২০০ টাকা করে প্রতি মাসে ভাতা পান।
মূলত এই প্রকল্পের ভাতা পেতে গেলে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়স হতে হয়। এবং ওই মহিলার পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী হতে হবে। তাহলেই তিনি প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে। এমনকি টাকা সরাসরি সংশ্লিষ্ট মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতা কি বাড়ছে?
সম্প্রতি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ করা হচ্ছে যে, ডিসেম্বর মাস থেকে নাকি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের ভাতা হবে ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের ভাতা হবে ১৮০০ টাকা।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশ কিছু উপভোক্তা বর্তমানে খুশি হলেও সরকারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয় কিছু জানানো হয়নি। তাই ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্পের ভাতা বাড়ছে কিনা, সে বিষয়ে কোনওরকম নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
যদিও রাজ্য সরকারের নিকটবর্তী কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী বিষয়টি এখনও পর্যন্ত আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্প নিয়ে বড়সড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৭ না, ২০২৬ থেকে চালু হচ্ছে অষ্টম বেতন কমিশন! সরকারি কর্মীদের জন্য খুশির খবর
টাকা বাড়লেই আসবে বিরাট পরিবর্তন
যদি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়ে, তাহলে এর ফল রাজ্যের ২ কোটির বেশি মহিলা উপকৃত হবে। হ্যাঁ, গ্রামীণ মহিলারা বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে এবং পরিবারের দৈনন্দিন খরচ নিয়ন্ত্রণে আসবে। পাশাপাশি শিক্ষিত মহিলারা ছোটখাটো ব্যবসা করার সাহসও পাবে।
যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কোনওরকম নোটিশ বা গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তবুও মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন যে, ডিসেম্বর মাস থেকে এই প্রকল্পে নতুন ৫ লক্ষ মহিলা যুক্ত হবে। ফলত বোঝাই যাচ্ছে যে সরকারি প্রকল্পটিকে আরও প্রসারিত করতে চলেছে এবং ভাতা হয়তো বাড়তে পারে।












