WB Govt New Scholarship: সরকারি বিদ্যালয় গুলোতে বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করলেও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সময় আর্থিক অনটনে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই রাজ্য সরকার এই সমস্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একাধিক বৃত্তিমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই বৃত্তিমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে রাজ্যে বেশ কয়েকটি স্কলারশিপ প্রচলন রয়েছে। এবার পুনরায় নতুন আরেকটি স্কলারশিপের সূচনা করেছেন রাজ্য সরকার। নতুন এই প্রকল্প টির নাম হল সহানুভূতি স্কলারশিপ।
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে মেধাবী দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আর্থিক সহায়তায় ছাত্রছাত্রীরা তাদের উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করে রাজ্য তথা দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে সহানুভূতি স্কলারশিপ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আগ্রহীরা প্রতিবেদনটি বিস্তারিত দেখে আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
সম্পর্কিত পোস্ট
অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ শুরু! টেট পাশ ও ডিএলএড থাকলে সুযোগ নিয়ে ফেলুন – Primary Teachers Recruitment

সহানুভূতি স্কলারশিপ কি ?
রাজ্য সরকারের সহানুভূতি স্কলারশিপ প্রকল্পটি মূলত বৃত্তিমূলক প্রকল্প। রাজ্যের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা আর্থিক অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করতে পারছেন না তাদের জন্য এই স্কলারশিপটি সহায়ক হবে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে নবম শ্রেণী থেকে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। এই স্কলারশিপ প্রকল্পটি মূলত শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য। এখানে আবেদনের কিছু যোগ্যতা রয়েছে যা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
আবেদন যোগ্যতা:
সহানুভূতি স্কলারশিপ প্রকল্পে যারা আবেদন করতে চান, তাদের নিম্নলিখিত যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে।
১. স্কলারশিপে আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, অস্থি সংক্রান্ত যে কোনও প্রতিবন্ধী বা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বনিম্ন ৪০% মতো প্রতিবন্ধকতা থাকতে হবে।
২. আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নবম শ্রেণী পাস করতে হবে, অর্থাৎ নবম শ্রেণী পাশের পর উচ্চশিক্ষার জন্য পরবর্তী ক্লাসে এডমিশন হতে হবে।
৩. আবেদনকারী ছাত্র ছাত্রীদের পূর্ববর্তী বছরের ৫০% নম্বর নিয়ে পাস করতে হবে।
৪. আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকা নীচে থাকতে হবে।
৫. আবেদনকারীকে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি হয়ে তার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি:
অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এর জন্য আবেদনকারী কে সর্ব প্রথমে স্কলারশিপের আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করতে হবে। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য যথা – নাম, ঠিকানা দিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট জেলা জনশিক্ষা প্রচার আধিকারিকের অফিসে জমা করতে হবে। আবেদনের ফরমটি জমা করার কিছু দিনের মধ্যে নথি যাচাইয়ের পর আপনার স্কলারশিপ টি গ্রহণ করা হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
উক্ত স্কলারশিপে অংশগ্রহণের জন্য ছাত্রছাত্রীদের নিম্নলিখিত নথিপত্র এর প্রয়োজন রয়েছে যেমন –
১. পরিচয়পত্র হিসেবে আবেদনকারী এবং আবেদনকারীর অভিভাবকের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড অথবা প্যান কার্ড।
২. ছাত্র-ছাত্রীদের বিগত পরীক্ষার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট।
৩. আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থা যাচাইয়ের জন্য পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র।
৪. আবেদনকারীর সাম্প্রতিক তোলা রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
৫. আবেদন কাস্ট সার্টিফিকেট (বাধ্যতামূলক নয় যদি থাকে)।
৬. আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীর শারীরিক প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট প্রভৃতি।
আরও পড়ুন
অ্যামাজন দিচ্ছে ঘরে বসে আয় করার সুযোগ! ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম – Amazon Work From Home














