দুয়ারে রেশন বন্ধ হয়ে যাবে! রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে মামলা কেন্দ্রের – Kajer Subidha

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রাজ্য সরকার বা কেন্দ্র সরকার একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করে রেখেছে। ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে নতুন করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, আবাস যোজনা নিয়ে ঝামেলার পর এবার নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এই প্রকল্প।

জানা যাচ্ছে, এই পরিষেবা বন্ধ করার দাবিতে এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের কাছে গিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যার ফলে এবার চাপের মধ্যে পড়েছে রাজ্য। আর আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

দুয়ারে রেশন প্রকল্প

আসলে ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করেন, যার মাধ্যমে সকলকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। এমনকি বাড়ির দরজায় এই রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। বিশেষ করে শারীরিকভাবে অক্ষম, প্রবীণ মানুষদের জন্য এই প্রকল্প একেবারে আশীর্বাদের মতো। রাজ্যের বহু মানুষ আজও এই পরিষেবার উপর নির্ভরশীল।

কেন্দ্র সরকারের বড়সড় অভিযোগ

তবে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টর সীতারাম মিনা সম্প্রতি ২৭২ পাতার একটি পিটিশন জমা করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। আর সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য চাইলে নিজের কোনও প্রকল্পে খাদ্যশস্য বিলি করতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায় এরকম পরিষেবা চালানো যাবে না।

বলাবাহুল্য, ‘ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড’ নীতির কারণে গ্রাহকদের যেকোনও রেশন দোকান থেকে খাদ্য শস্য তুলতে দেওয়া হবে। রেশন পৌঁছে দেওয়া বাস্তবে আইনসম্মত নয়। এমনটাই জানানো হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রের দাবি আরও কঠোর। শুধুমাত্র প্রকল্প বন্ধ নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে।

অন্ধ্র এবং দিল্লিতেও বন্ধ হয়েছে এই পরিষেবা

এদিকে কেন্দ্র সরকারের কড়া অবস্থানের কারণে অন্ধ্রপ্রদেশে ইতিমধ্যে এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প বন্ধ হয়েছে। আর দিল্লিতেও কেজরিওয়ালের আমলে যেটুকু চালু হয়েছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এবার টার্গেট নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপর।

তবে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেছেন, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত সবসময় বাড়ি বয়ে রেশন পৌঁছে দিতে গিয়ে প্রচুর অসুবিধা পোহাতে হয়। পথে অনেক খাদ্যশস্য নষ্ট হয়। কিন্তু তার জন্য কেন্দ্র কিংবা রাজ্য কেউই বাড়তি খাদ্যশস্য দেয় না। কিন্তু মানবিকতার জায়গা থেকেই পরিষেবাটি চালিয়ে আসছেন ডিলাররা। তবে রাজ্যের দাবি, সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই এই পরিষেবা অব্যাহত রাখা জরুরী।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন