রাজ্যের ২২ জেলায় নেই কোনও মৃত ভোটার! ২২০৮টি বুথে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারের নাম নেই, জানাল নির্বাচন কমিশন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

রাজ্যে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এসআইআর। এসআইআর চলাকালীন নানান অভিযোগ উঠে এসেছিল। তবে এই মুহূর্তে এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে উঠে আসলো! রাজ্যের দুই হাজারেরও বেশি বুথে পাওয়া যায়নি কোনও মৃত ভোটার। এমনকি পাওয়া যায়নি স্থানান্তরিত ভোটার অর্থাৎ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর হয়েছে, এছাড়াও পাওয়া যায়নি একজন ভোটারের নাম একাধিক জায়গায়, এমনটাই জানাল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের ২ হাজার ২০৮ টি বুথে নেই কোনো মৃত ভোটার। এখন প্রশ্ন উঠছে, ওই সকল বুথে কি তাহলে, ২০০২ সালের পর থেকে কোনো ভোটারের মৃত্যু হয়নি? রাজ্যে গণনা ফর্ম যাচাই পর্বে উঠে আসলো এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পশ্চিমবঙ্গের ২২ টি জেলার ২ হাজার ২০৮ টি বুথে পাওয়া যায়নি কোনো মৃত ভোটার।

রাজ্যের এই ২২ টি জেলার মধ্যে সবার উপরে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা। ২৪ পরগনার ৭৬০ টি বুথে পাওয়া যানি কোনো মৃত ভোটার। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুরুলিয়া। পুরুলিয়া জেলার ২২৮ টি বুথে পাওয়া যায়নি কোনো মৃত ভোটার। প্রশ্ন উঠছে ২০০২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কেউ কি মারা যাননি তাহলে? এমনকি কোনো গণনা ফর্ম ও ফেরত আসেনি এই সকল বুথ থেকে। এরপর তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা। মুর্শিদাবাদ জেলার ২২৬ টি বুথে পাওয়া যায়নি কোনো মৃত ভোটার। এরপর রয়েছে মালদা জেলার ২১৬ টি বুথ, শুধু তাই নয় বাকুড়া জেলার ১০১ টি বুথ অপরদিকে হাওড়া জেলার ৯৪ টি বুথ। এরকম ২২ টি জেলায় পাওয়া যায়নি কোনো মৃত ভোটার।

২০০২ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত, শেষের দিকে যেসকল জেলার বুথে কোনো ভোটারের মৃত্যু হয়নি, তা হলো – আলিপুরদুয়ার জেলা। এই জেলার ৩টি বুথে পাওয়া যায়নি কোনো মৃত ভোটার। অপরদিকে কোচবিহার জেলার ২ টি বুথেও পাওয়া যায়নি কোনো মৃত ভোটার। এছাড়াও রয়েছে দার্জিলিং জেলার ২টি বুথ, কালিম্পং জেলার ১টি বুথ, উত্তর কলকাতার ১ টি বুথ এবং অপরদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ১টি বুথে পাওয়া যায়নি কোনো মৃত ভোটার।

কমিশনের তরফ থেকে পূর্বে দেওয়া ডেটলাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। এর আগে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণনা ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকলেও। রবিবার নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসআইআর ফর্ম পূরণ করা যাবে আগামী ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। অপরদিকে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ ৯ই ডিসেম্বর থাকলেও তা পিছিয়ে করা হয়েছে ১৬ই ডিসেম্বর। এছাড়াও ফাইনাল ভোটার লিস্ট প্রকাশের তারিখ পিছিয়ে করা হয়েছে ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০২৬।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন