২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো দেশের জনগণনার কাজ শুরু হতে চলেছে। সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কবে থেকে গণনা শুরু হবে। এবারের জনগণনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে জানা গেছে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম ধাপের গণনা শুরু হবে। তবে এটি সীমিত কিছু এলাকায় হবে, যেমন হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত অঞ্চল।
এরপর দেশের বাকি অংশে দ্বিতীয় ধাপের জনগণনা হবে, যা ফেব্রুয়ারি ২০২৭ থেকে শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপে বাড়ির তালিকা গণনা করা হবে, যা ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সম্পন্ন হবে। এরপর নাগরিকদের গণনা হবে।
এবারের জনগণনায় যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হচ্ছে জাতিভিত্তিক তথ্য যুক্ত হওয়ার কথা। এতদিন পর্যন্ত ভারতে জাতভিত্তিক জনগণনা সাধারণত করা হতো না, শুধুমাত্র তফসিলি জাতি ও উপজাতির ক্ষেত্রেই এই হিসাব রাখা হতো। তবে এবার সমস্ত জাতের বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার।
২০১১ সাল থেকে বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা কত সে সম্পর্কিত সঠিক ও নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। এজন্য দায়ী কোভিডের কথা বলে মনে করা হচ্ছে, কিন্তু ২০১১ সালের জনগণনার পর জানা গিয়েছিল, ওই সময় জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটির কিছু বেশি। বর্তমানে জনসংখ্যা কত তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও পর্যন্ত নেই সরকারের কাছে।














