Trade License Online: পশ্চিমবঙ্গে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চলেছেন কিংবা পুরনো ব্যবসার লাইসেন্স নবীকরণের প্রয়োজন? এখন আর পুরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর দিন শেষ। রাজ্য সরকারের ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ (Ease of Doing Business) উদ্যোগের ফলে এখন বাড়িতে বসেই খুব সহজে ট্রেড লাইসেন্স বা ‘সার্টিফিকেট অফ এনলিস্টমেন্ট’ (Certificate of Enlistment) সংগ্রহ করা সম্ভব। আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের মাধ্যমেই কয়েক মিনিটের মধ্যে এই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব কীভাবে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন এবং এর জন্য কী কী নথিপত্র প্রয়োজন।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
অনলাইন পোর্টালে আবেদন শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র স্ক্যান করে হাতের কাছে রাখা জরুরি। অসম্পূর্ণ নথির কারণে আবেদন বাতিল হতে পারে। নিচে প্রয়োজনীয় নথির তালিকা দেওয়া হলো:
| নথির ধরন | বিবরণ |
|---|---|
| পরিচয়পত্র (যে কোনো একটি) | আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি অথবা পাসপোর্ট। |
| ঠিকানার প্রমাণ (নিজস্ব জায়গা) | বর্তমান পুরসভার ট্যাক্স রসিদ (Property Tax Receipt)। |
| ঠিকানার প্রমাণ (ভাড়া জায়গা) | রেন্ট এগ্রিমেন্ট বা ভাড়ার রসিদ এবং বাড়িওয়ালার অনাপত্তি শংসাপত্র (NOC)। |
| প্রাতিষ্ঠানিক নথি | পার্টনারশিপ ফার্ম হলে পার্টনারশিপ ডিড, কোম্পানি হলে ইনকরপোরেশন সার্টিফিকেট। |
অনলাইনে আবেদনের ধাপে ধাপে নির্দেশিকা
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দিষ্ট পোর্টাল যেমন— শিল্পসাথী (Silpasathi), ই-ডিস্ট্রিক্ট (e-District) বা নগর ও উন্নয়ন দপ্তরের (UD&MA) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
১. পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন: প্রথমে আপনাকে সংশ্লিষ্ট সরকারি পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে নিজের নাম, সচল মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি ব্যবহার করে ‘Sign Up’ বা রেজিস্ট্রেশন করুন। এরপর প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
২. পরিষেবা নির্বাচন: ড্যাশবোর্ডে প্রবেশের পর ‘All Services’ বা ‘Apply Online’ মেনু থেকে “Issuance of Trade License” অথবা “Certificate of Enlistment” অপশনটি বেছে নিন। এরপর কমন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম (CAF) আপনার সামনে আসবে।
৩. তথ্য পূরণ ও নথি আপলোড: আবেদনপত্রে ব্যবসার নাম, সঠিক ঠিকানা, ব্যবসা শুরুর তারিখ এবং কর্মচারীর সংখ্যা নিখুঁতভাবে পূরণ করুন। এরপর পূর্বে স্ক্যান করে রাখা পরিচয়পত্র ও জমির নথিপত্র নির্দিষ্ট ফরম্যাটে (PDF/JPG) আপলোড করুন। জমা দেওয়ার আগে ‘Save & Preview’ অপশনে ক্লিক করে সমস্ত তথ্য যাচাই করে নিন।
৪. ফি পেমেন্ট ও সার্টিফিকেট ডাউনলোড: আবেদনপত্রটি সাবমিট করার পর আপনাকে নির্ধারিত সরকারি ফি জমা দিতে হবে। নেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট কার্ড বা ইউপিআই-এর মাধ্যমে এই পেমেন্ট করা যায়। পেমেন্ট সফল হলে এবং আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনার ড্যাশবোর্ডেই ট্রেড লাইসেন্স জেনারেট হয়ে যাবে। সেখান থেকে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিলেই আপনার কাজ শেষ।
কিছু জরুরি পরামর্শ
আবেদন করার সময় যে মোবাইল নম্বরটি দেবেন তা যেন অবশ্যই সচল থাকে, কারণ ওটিপি (OTP) ভেরিফিকেশন ছাড়া প্রক্রিয়াটি এগোবে না। এছাড়া স্ক্যান করা ডকুমেন্টগুলি যেন পরিষ্কার ও ঝকঝকে হয়, যাতে কর্তৃপক্ষের যাচাই করতে সুবিধা হয়। আবেদন শেষে প্রাপ্ত ‘Application ID’ বা একনলেজমেন্ট স্লিপটি ভবিষ্যতের প্রয়োজনে সংরক্ষণ করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।














