Pay Fixation: পুরনো চাকরিতে ফিরলে বেতন কত হবে? শিক্ষকদের জন্য বড় নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দপ্তরের

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Pay Fixation: রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন নির্ধারণ বা ‘পে ফিক্সেশন’ এবং পুরনো চাকরিতে পুনরায় যোগদান সংক্রান্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে। বিশেষ করে যে সমস্ত শিক্ষক ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বা তার পরবর্তী সময়ে উচ্চতর পদে (যেমন উচ্চ প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরে) চাকরি পেয়েছিলেন, কিন্তু সাম্প্রতিক আদালতের রায়ে সেই চাকরি বাতিল হওয়ায় তাঁদের আবার পূর্বের পদে (যেমন প্রাথমিকে) ফিরে যেতে হচ্ছে, তাঁদের জন্যই এই বিজ্ঞপ্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

গত ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে জারি করা এই নির্দেশিকায় জেলা স্কুল পরিদর্শকদের (DI) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন এবং চাকরির শর্তাবলী কীভাবে নির্ধারিত হবে।

বেতন কাঠামোয় বড় পরিবর্তন

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, উচ্চতর পদে থাকাকালীন শিক্ষকরা যে বেতন পাচ্ছিলেন, পুরনো পদে ফিরলে কি সেই বেতনের সুরক্ষা বা ‘পে প্রোটেকশন’ (Pay Protection) পাওয়া যাবে? শিক্ষা দপ্তর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এক্ষেত্রে কোনো পে প্রোটেকশন প্রযোজ্য হবে না।

যখন কোনো শিক্ষক তাঁর পুরনো বা নিম্নতর পদে ফিরে যাবেন, তখন তাঁর বেতন সেই পুরনো পদের স্কেল অনুযায়ীই নতুন করে নির্ধারণ বা ফিক্সেশন করতে হবে। অর্থাৎ, উচ্চতর পদের বর্ধিত বেতন তিনি আর দাবি করতে পারবেন না। তাঁকে প্রাথমিকের বা পূর্বের পদের স্কেলেই বেতন গ্রহণ করতে হবে।

স্বস্তির খবর: সিনিয়রিটি এবং ইনক্রিমেন্ট

বেতন কমলেও শিক্ষকদের জন্য স্বস্তির খবর রয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিক্ষকদের চাকরির ‘সিনিয়রিটি’ (Seniority) অক্ষুণ্ণ থাকবে। অর্থাৎ, তিনি যতদিন চাকরি করেছেন, সেই সময়কাল তাঁর চাকরির মেয়াদে যুক্ত থাকবে এবং তিনি সিনিয়রিটির সমস্ত সুবিধা পাবেন। এছাড়া, নিয়ম অনুযায়ী তিনি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার জন্যও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। অন্যান্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধাও (Other Entitlements) বজায় থাকবে।

বকেয়া বেতন বা ব্যাক ওয়েজেস প্রসঙ্গ

শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকায় ‘ব্যাক ওয়েজেস’ বা বকেয়া বেতনের বিষয়েও কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে চাকরি যাওয়ার পর থেকে পুরনো স্কুলে যোগদানের মধ্যবর্তী যে সময়কাল, সেই সময়ের জন্য রাজ্য সরকার বা সংশ্লিষ্ট পর্ষদ কোনো বেতন দেবে না। ওই সময়ের জন্য কোনো বকেয়া দাবি করা যাবে না।

এক নজরে নির্দেশিকার মূল বিষয়বস্তু:

বিষয় নির্দেশনা
বেতন নির্ধারণ পুরনো পদের স্কেল অনুযায়ী হবে। কোনো পে প্রোটেকশন মিলবে না।
সিনিয়রিটি চাকরির সিনিয়রিটি বজায় থাকবে।
ইনক্রিমেন্ট বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার যোগ্য হবেন।
বকেয়া বেতন মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কোনো ব্যাক ওয়েজেস দেওয়া হবে না।

এই নির্দেশিকাটি মূলত সেই সমস্ত শিক্ষকদের বিভ্রান্তি দূর করবে যারা আইনি জটিলতায় পড়ে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে বা এক পদ থেকে অন্য পদে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছেন। যদিও আর্থিক দিক থেকে সাময়িক ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে, তবুও চাকরির ধারাবাহিকতা বজায় থাকা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন