TET Mandatory Case: আজ ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫, ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সুপ্রিম কোর্টে আজ শিক্ষকদের জন্য টেট (TET) বা শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক কিনা, সেই সংক্রান্ত দুটি পৃথক এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মামলার শুনানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষক এবং চাকরিপ্রার্থীদের নজর আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দিকে।
এই মামলা দুটির ফলাফল বা শুনানির গতিপ্রকৃতি আগামী দিনে শিক্ষক নিয়োগের নিয়মাবলীতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে মামলা দুটির বিস্তারিত তথ্য এবং বর্তমান স্ট্যাটাস আলোচনা করা হলো।
প্রথম মামলা: শিক্ষক মহাসংঘ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া
আজকের দিনের অন্যতম হাই-প্রোফাইল মামলাটি হলো ‘শিক্ষক মহাসংঘ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া’। এটি একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) হিসেবে দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটি মহারাষ্ট্রের শিক্ষক মহাসংঘ দ্বারা দায়ের করা হলেও, এর রায় বা নির্দেশ সারা ভারতের শিক্ষকদের ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মামলাটি আজ সুপ্রিম কোর্টের কোর্ট নম্বর ২-এ বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠার কথা। সিরিয়াল নম্বর ৩৯-এ থাকায় লাঞ্চের আগেই এই মামলার শুনানি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে ‘অ্যাডমিশন’ বা প্রাথমিক শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
মামলার বিস্তারিত তথ্য:
| বিবরণ | তথ্য |
|---|---|
| পিটিশনার | শিক্ষক মহাসংঘ (মহারাষ্ট্র) |
| রেসপন্ডেন্ট | ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া, NCTE এবং মহারাষ্ট্র সরকার |
| ডায়েরি নম্বর | ৫২৪২/২০২৫ |
| কেস নম্বর (রিট পিটিশন) | ২৫/২০২৫ |
| বেঞ্চ | বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতা |
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে গত ৩রা জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মামলাটি তালিকাভুক্ত থাকলেও সময়ের অভাবে শুনানি সম্ভব হয়নি (‘Not Taken Up’)। আজ তাই এই মামলার দিকে বিশেষ নজর থাকছে।
দ্বিতীয় মামলা: ত্রিপুরা সরকার বনাম সজল দেব
আজকের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি ত্রিপুরা রাজ্য সরকার এবং সজল দেবের মধ্যে। এই মামলাটি মূলত ত্রিপুরা হাইকোর্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল হিসেবে এসেছে। ত্রিপুরা হাইকোর্ট এর আগে রায় দিয়েছিল যে, ২০১০ সালের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে টেট (TET) বাধ্যতামূলক নয়, কারণ তাদের নিয়োগ বিধি বা রুলস সেই সময় ভিন্ন ছিল।
ত্রিপুরা সরকার হাইকোর্টের এই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে কারণ গত ৫ই সেপ্টেম্বর বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত একটি নজিরবিহীন রায়ে উল্লেখ করেছিলেন যে সমস্ত শিক্ষকদের জন্যই টেট বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
শুনানি নিয়ে ধোঁয়াশা:
আজ এই মামলাটি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির বেঞ্চে (কোর্ট নম্বর ৮) ওঠার কথা ছিল। অনলাইনে মামলার স্ট্যাটাসে শুনানির তারিখ হিসেবে ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ দেখাচ্ছে। তবে, আজকের প্রকাশিত চূড়ান্ত ‘কজ লিস্ট’ বা মামলার তালিকায় এই মামলাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এর ফলে, আজ এই মামলাটির শুনানি আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও অনলাইন ডেটাবেস অনুযায়ী তারিখ আজকেই, কিন্তু কজ লিস্টে না থাকলে সাধারণত শুনানি হয় না।
গুরুত্ব ও উপসংহার
আজকের দিনটি বিশেষ করে শিক্ষক মহাসংঘের জনস্বার্থ মামলাটির জন্য অত্যন্ত ভাইটাল। যেহেতু এটি একটি সর্বভারতীয় স্তরের আইনি লড়াই এবং এনসিটিই (NCTE)-এর মতো সংস্থাকে এখানে পার্টি করা হয়েছে, তাই এখান থেকে উঠে আসা যেকোনো পর্যবেক্ষণ দেশের শিক্ষক নিয়োগ নীতিতে বদল আনতে পারে। অন্যদিকে, ত্রিপুরা মামলার শুনানি আজ না হলেও, ভবিষ্যতে এই মামলাটি প্রবীণ শিক্ষকদের টেট যোগ্যতার প্রশ্নে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আমরা সুপ্রিম কোর্টের লাইভ আপডেটের দিকে নজর রাখছি এবং শুনানি শেষ হওয়া মাত্রই বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।














