SIR: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নজরদারি আরও কঠোর করতে এক বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের ভোটার তালিকা সংশোধন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় মূলত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাই বিএলও (BLO) হিসেবে ফিল্ডপর্যায়ে কাজ করতেন। তবে এবার সেই ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এবার থেকে এই প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের, যাঁদের ‘মাইক্রো অবজার্ভার’ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
মাইক্রো অবজার্ভারদের কাজের পরিধি
কমিশনের সদ্য প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীকে এই বিশেষ পদে নিয়োগ করা হবে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে কাজের স্বচ্ছতা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। মাইক্রো অবজার্ভারদের প্রধান কাজগুলি নিচে আলোচনা করা হলো:
- শুনানিতে উপস্থিতি: ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর যখন দাবি ও আপত্তি নিয়ে শুনানি বা হিয়ারিং চলবে, তখন এই মাইক্রো অবজার্ভারদের সশরীরে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে।
- নথি পরীক্ষাকরণ: শুনানির সময়ে যেসব নথিপত্র বা ডকুমেন্টস জমা পড়বে, সেগুলি তাঁরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখবেন।
- আধিকারিকদের সহায়তা: তাঁদের মূল কাজ হবে ইআরও (ERO) এবং স্পেশাল রোল অবজার্ভারদের কাজে সহায়তা প্রদান করা এবং প্রক্রিয়াটি যাতে নিয়ম মেনে হয় তা দেখা।
কেন এই নতুন পদক্ষেপ?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় প্রায়শই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে। কখনও বৈধ নাম বাদ দেওয়া, আবার কখনও অবৈধ নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ সামনে আসে। এই শুনানি পর্ব যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের এই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের লক্ষ্য হলো, শুনানি প্রক্রিয়ায় যেন কোনোভাবেই পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন না ওঠে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা আধিকারিকদের এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নোটিশ জারির সাত দিন পর থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
Follow Us














