Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : করোনার জেরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ব্যস্ত সরকারি ও বেসরকারি কর্মীরা। গত কয়েকমাসে এই ভাবে কাজ করতে করতে বাড়ি থেকে কাজ করতেই বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাড়ি উপযুক্ত অফিসের মতো তৈরি করে ফেলেছেন অধিকাংশ। কর্পোরেট সেট আপ তৈরি করতে কোনও ত্রুটি রাখেননি। শুধু অফিসের কাজ তো নয়, বাড়ির কাজকর্মকে সামলে দিব্য অফিসের কাজ করছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে না হতেই অফিস খোলার উদ্যোগ নিচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা। ফলে আগের পদ্ধতিতেই অভ্যস্ত হওয়ার সময় এসেছে।
কর্মক্ষেত্রে সাধারণত লাঞ্চ টাইমে বা ব্রেকের সময় বাইরের খাবার খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। কাজের চাপ কমাতে ক্যাফেটেরিয়াই অফিসের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম থাকায় সেই মজাদার দিন গুলিকে অনেকেই মিস করেছেন। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা জানেন অভ্যাসটি স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে। যাঁরা ডেস্কেই কাজ করতে করতে দুপুরের খাবার খান, তাঁরা কী ক্ষতি করছেন, তা হয়তো জানা নেই।
একহাতে কিবোর্ড, অন্যহাতে টিফিনবক্সের চামচ। কাজের চাপে খাবার সময় থাকে না অনেকেরই। কম্পিউটারে মাথা গুঁজে কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দ্রুতগতিতে খাওয়া শরীরের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। বাড়িতে থাকাকালীন ডাইনিং টেবিলে বসেই খাওয়ার অভ্যেস হঠাত করে বদলে ফেলবেন না। কাজের চাপ শেষ করতে গিয়ে অনেকেই এই সময় হাতের কাছে যা পান তাই খান। নুডলস, স্যান্ডউইচ, বার্গার বা ফ্রাইয়ের মত খাবার স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়।
মাঝে মাঝে বিরতি নিতে হয়। নাহলে মানসিক চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। প্রয়োজনীয় বিরতি না নিলে, অফিসের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে কথা না বললে, খাবার খাওয়ার আনন্দ উপভোগ না করলে আপনি মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল