Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : সাধারণত ঋতুস্রাব চক্রের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান থাকে। বর্তমানে সেটিকে ২৪ দিন থেকে ৩৪ দিন পর্যন্ত সাধারণ সময়সীমা ধরা হয়। তবে প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রে সমান হয় না। যাদের কোনও মাসে দু’বার, কারোর এক-দেড় মাস ছাড়া নিয়মিত ব্যবধান অতিক্রম করার আগেই পরের ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যাওয়ার মত একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। একে বলা হয় অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
বর্তমানে জীবনধারা ও দূষণের কারণে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের শিকার। তবে এমন নয় পরিবারে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের ইতিহাস না থাকলে সমস্যা হবে না। প্রশ্ন উঠছে সমস্যার হাত থেকে কীভাবে রেহাই পাওয়া যায়। দেখুন এক নজরে ——
১. ঋতুস্রাব চক্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পিছনে হরমোন বড় ভূমিকা পালন করে। তার জন্য যোগাসন করা খুব জরুরি। যেসব মহিলারা প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট যোগাসন করেন তাদের মধ্যে অনিয়মিত ঋতুস্রাব সহ অন্যান্য পিরিয়ড সম্পর্কিত সমস্যার ঝুঁকিও অনেক কম।
২. ওজন একটি সঠিক ঋতুস্রাব চক্রকে বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুব জরুরি। কম ওজন বা বেশি ওজনের জন্য সমস্যা দেখা দেয়।
৩. একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সমস্ত উপসর্গের হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়ক আদা। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সময় হওয়া একাধিক সমস্যা যেমন পেটে ব্যথা, আমাশয় ইত্যাদি উপসর্গকে হ্রাস করতে আদা সাহায্য করে। তাই আদা দিয়ে চা বা যে কোনও খাবারের সঙ্গে আদা খেতে পারেন।
৪. দারুচিনি ঋতুস্রাব চক্রের নির্দিষ্ট ব্যবধান বজায় রাখে। ব্যথা ও অত্যধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পিসিওএস সমস্যা হ্রাস করে।
৫. ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কম থাকলে অনেক সময় অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। তাই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার করতে পারেন। ভিটামিন বি ঋতুস্রাব চক্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
৬. আপেল সাইডার ভিনিগার জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। এই দুটি উপাদান আপনার পিরিয়ডের চক্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ঋতুস্রাবের সময় হওয়া একাধিক সমস্যা থেকে রেহাই দেবে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল