Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : প্রায় ৩৬৩ বছর পূর্বে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনার কুলটি গ্রামের চৌধুরী পরিবারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলেছে। আজও রীতি মেনে চৌধুরী পরিবারে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। এই পরিবারের পুজোর অন্যতম আকর্ষণ চার হাতের প্রতিমা।
প্রতিবারের মতো সেখানকার চৌধুরী পরিবারে ঐতিহ্য মেনেই আয়োজন করা হচ্ছে দুর্গা আরাধনার। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদে বসানো হবে ঘট। ওইদিন থেকেই শুরু হয় পুজো। পুজোর মূল আকর্ষণ ৪ হাত বিশিষ্ট দেবী প্রতিমা। প্রথমে দশভূজা রূপেই দেবীর পুজো করা হত। একবার বিসর্জনের পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মা দুর্গা। ছয়টি হাত সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সেই থেকে চার হাতের দেবী পূজিতা হন চৌধুরী পরিবারে।
শুধু চার হাতেও দেবীই নন, প্রাচীন মাটির দালানেই হয় পুজো। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার দালান সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বপ্নাদেশের কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। আগে ধুমধাম করে বন্দুকের শেল ফাটিয়ে বলি প্রথা চালু ছিল। এখনও তা চালু আছে। তবে পশু বলির প্রথা প্রচলন নেই। বর্তমানে আখ ও কুমড়ো বলি দেওয়া হয়।
পরিবারের সদস্য প্রকাশ চন্দ্র আঢ্য বলেন, “পুজোর ৪ দিন পরিবারের সকল সদস্য, আত্মীয়স্বজন মিলে প্রায় ১০০ জন বসে প্রসাদ খাওয়া হয়। আগে তিন কড়ি আঢ্য ও বীশ্বেশর আঢ্যের লেখা গানে নবমীর রাতে জমে উঠত কবি লড়াইয়ে আসর। কিন্তু এখন তা সম্ভব হয় না। তাই বাউল-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসানো হয় । অতিমারির কারণে গত বছর এই অনুষ্ঠানও বন্ধ ছিল এবং এবছরও তা হবে না। তবে বিসর্জনের দিন পরিবারের সকল সদস্য মিলে আজও প্রাচীন গান গেয়েই প্রতিমা নিরঞ্জন করে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল