Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : পুজোর বাকি কয়েকটা দিন। আগামী ১১ অক্টোবর দুর্গাপুজোর সূচনা। আজ বুধবার মহালয়া, দেবীপক্ষের শুরু। দুর্গা পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন ও তার ফলাফল নিয়ে বহু কথা প্রচলিত রয়েছে। আলাদা করে পঞ্জিকায় উল্লেখ করা থাকে। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন নির্ধারিত করে মর্তলোকে সারা বছর কেমন যাবে।
মনে রাখতে হবে দেবী দুর্গার সপ্তমীতে আগমন। গমন দশমীতে। দুই দিন সপ্তাহের কোন কোন বারে পড়ছে, তার উপরেই নির্ভর করে দেবীর কীসে আগমন বা কীসে গমন। শাস্ত্রে বলা আছে…
“রবি চন্দ্রে গজারূঢ়া, ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ,
গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং, নৌকায়াং বুধবাসরে।”
অর্থাত্ সপ্তমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন গজ। সপ্তমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবীর বাহন ঘোটক। সপ্তমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর বাহন দোলা বা পালকি। সপ্তমী বুধবার হলে দেবীর বাহন নৌকা। বিজয়া দশমী যেবারে পড়বে সেই অনুযায়ী স্থির হবে দেবীর প্রস্থানের বাহন।
এই বছর ১২ অক্টোবর সপ্তমী পড়েছে মঙ্গলবার। তাই দুর্গার আগমন ঘোড়ায়। আগামী ১৫ অক্টোবর শুক্রবার পড়েছে বিজয়া দশমী। মা দুর্গা পুত্র-কন্যা সহ কৈলাশে ফিরবেন দোলা বা পালকির পিঠে চেপে।
শাস্ত্রমতে গজ দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন। তাই দেবী গজে আরোহন করে আসলে মর্তলোক ভরে ওঠে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে। পরিশ্রমের সুফল পায় মর্তলোকের অধিবাসীগণ।
সপ্তমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দুর্গার বাহন হবে ঘোটক বা ঘোড়া। ফল “ছত্র ভঙ্গ স্তুরঙ্গমে” অর্থাৎ সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। ঘোটকে আগমনে রাজায়-রাজায় বা রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে যুদ্ধ সূচিত হয়।
সপ্তমী যদি বৃহস্পতি বা শুক্রবার হয় তাহলে দেবী দোলা বা পালকিতে আসবেন। ফল “দোলায়াং মকরং ভবেৎ” অর্থাৎ মহামারী, ভূমিকম্প, খরা, যুদ্ধ ও অতিমৃত্যু লক্ষ্য করা যায়। দোলা বা পালকিতে সূচিত হয় ভয়ঙ্কর মহামারী। যাতে বিপুল প্রাণহানি অনিবার্য।
সপ্তমী যদি বুধবার হয় তাহলে দেবীর আগমন নৌকায়। ফল “শস্য বুদ্ধিস্তথাজলম” অর্থাৎ প্রবল বন্যা ও খরা দেখা যায়। নৌকায় মনোকামনা পূর্ণ হওয়া সূচিত হয়। ধরিত্রী হয়ে ওঠে শস্য শ্যামলা।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল