Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : গত কয়েকদিন ধরে প্রবল ভিড় চোখে পড়েছে শহর জুড়ে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যা যত বেশি, কোভিড বিধির অভাব তার থেকেও বেশি। মাস্ক ছাড়াই নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই দৃশ্য দেখেই চিকিৎসকরা বলছেন, আমরা হতাশ। মাত্র কয়েক মাস আগে কোভিডের কারণে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেটা মানুষ কী ভাবে ভুলে গেলেন ? শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের দাবি, পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও চোখে পড়বে অক্সিজেনের অভাব। তখন সরকার বা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে দোষারোপ করা হবে, মানুষের মনে রাখা উচিত তাঁরা দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছেন কিনা ?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “আত্মঘাতী বাঙালি”। মাত্র ৬ মাস আগে বেডের জন্য হাহাকার, অক্সিজেনের জন্য হাহাকার কী ভাবে ভুলে গেলেন। কড়া বার্তা দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন বন্ধ করুন পুজো, যা হয়েছে হয়েছে। ভাইরোলজিস্ট ড. সুমন পোদ্দার কার্যত হতাশা প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। তাঁর দাবি, শিশুদের মধ্যে যদি করোনা ছড়ায়, তাহলে তা গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো কাজ করবে। শিশুদের ভ্যাকসিন এখনও দেওয়া হয়নি মনে করিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক ড. রাহুল জৈন।
চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেছেন, ২০২০ সালের পুজো ছিল বয়স্কদের বাঁচানোর লড়াই। ছোট সন্তানদের হাতে ধরে মণ্ডপ দেখাতে নিয়ে যাচ্ছেন, রাস্তায় বের করছেন তাঁরা কিন্তু সন্তানদের ক্ষতি ডেকে আনছেন। একাধিক চিকিৎসক অসহায়তা কথা জানিয়েছেন। তাঁরা টোটালি ” ফ্রাস্ট্রেটেড “।
পুজোর ভিড় নিয়ে চিকিৎসক মহল থেকে প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে। এই মুহূর্তে কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চরম আশঙ্কায় দিন গুনছেন চিকিৎসকেরা। উৎসব মুখর বাঙালি রাস্তায় আনন্দ করতে বেরিয়ে পড়ছে সব সময়। বিস্ফোরণের অপেক্ষায় হয়তো বাঙালিরা।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল