Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : দশেরায় যখন সারা দেশ উৎসবে মেতে ওঠে, সেই সময় নয়ডার বিশাখ গ্রামে নেমে আসে নিস্তব্ধতা। গোটা গ্রাম যেনো শোকে ডুবে থাকে। এই নিস্তব্ধতা শুধুমাত্র একদিনের জন্য নয়, এই নিস্তব্ধতা নবরাত্রির নয় দিন জুড়ে। বহু বাড়িতে রান্না হয় না। বিশাখ গ্রামের বাসিন্দাদের চোখে রাম শত্রু। আর রাবণ নাকি তাদের কাছে ঘরের ছেলের মত। তাই, রাবণ বধ তাদের কাছে শোকের দিন।
এই প্রথার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি বিশেষ লোক কথা। রাবণের পিতা ঋষি বিশ্বশ্রবার নাম থেকেই এই গ্রামের নামকরণ। গ্রামবাসীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন, এই গ্রামেই রাবণের ছেলেবেলা কেটেছে। এখানে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। মন্দিরটি আবার নাকি রাবণের নামে। আর সেই মন্দিরের ভিতরে রয়েছে শিবলিঙ্গ।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, বিশ্বশ্রবা মুনির হাতে স্থাপিত হয়েছিল এই মন্দির। শুধু নবরাত্রির ৯ দিন ধরে এখানে শোক পালন করা হয় শুধু তাই নয়, দীপাবলির সময়েও এখানে থাকে না সেই রকম কোনো জাঁকজমক অনুষ্ঠান। স্থানীয়দের এই বিশ্বাস আরও মজবুত হয় যখন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দ্বারা খনন কার্যের ফলে বেশ কিছু পুরনো মুদ্রার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যা থেকে অদ্ভুত বিশ্বাসের জন্ম। হয়েছে।
গত ৪০ বছর ধরে এই গ্রামে বাস করছেন এক পুরোহিত। তিনি জানিয়েছেন, কোন দিন তিনি নবরাত্রিতে গ্রামবাসীকে উৎসবে মেতে উঠতে দেখেননি। গ্রামের মানুষের কাছে রাবণ নাকি ভগবানের সমান। রাবণ নাকি তাদের গ্রামের ছেলে। তাই, নবরাত্রিতে কার্যত গোটা দেশ যখন উৎসাহের সঙ্গে নবরাত্রীতে মেতে ওঠে, নয়ডার বিশাখ গ্রামে নেমে আসে নিস্তব্ধতা।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল