Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : কালী পূজার পরে যে উত্সবকে ঘিরে মেতে ওঠে বাঙালি , তা হল জগদ্ধাত্রী পুজো। মূলত কৃষ্ণনগর ও চন্দনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে ধূমধাম হলেও গত কয়েক বছর রাজ্যের অন্যান্য অংশেও এই পুজোর প্রচলন হয়েছে। কৃষ্ণনগর ও চন্দনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দুর্গাপুজোকেও ছাপিয়ে প্রধান উত্সব হিসেবে গণ্য হয়। তবে এই বছর করোনার কারণে অন্যান্য উত্সবের মতো জগদ্ধাত্রী পুজোতে রয়েছে বিধি নিষেধের কাঁটা।
দুর্গাপুজোর মতো জগদ্ধাত্রী পুজোও ৪ দিন ধরে চলে। অনেক জায়গায় শুধু নবমীর পুজোই করা হয়ে থাকে। ১১ নভেম্বর বুধবার এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নবমী তিথি পড়েছে ১২ নভেম্বর শুক্রবারে। ওডিশার বিভিন্ন অংশেও জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে থাকে।
বাংলা মতে ২৫ কার্তিক এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারে ১১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫১ মিনিটে। অষ্টমী তিথি শেষ হয়ে ও নবমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে বাংলা মতে ২৬ কার্তিক ও ইংরেজি ক্যালেন্ডারে ১২ নভেম্বর, শুক্রবার সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে। সকাল ৫টা ৫২ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ৩১ মিনিটের মধ্যে উপযুক্ত নবমী তিথি শেষ হয়ে দশমী তিথি আরম্ভ হবে বাংলা মতে ২৭ কার্তিক ও ইংরেজি ক্যালেন্ডারে ১৩ নভেম্বর, শনিবার সকাল ৫টা ৫৪ মিনিটে। সকাল ৯টা ৩১ মিনিট মধ্যে জগদ্ধাত্রী দেবীর দশমীর পুজো ও বিসর্জন সেরে ফেলতে হবে। দশমী তিথি শেষ হবে বাংলা মতে ২৮ কার্তিক।
দুর্গার বিকল্পরূপ হিসেবে জগদ্ধাত্রীর আরাধনার প্রবর্তক নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। তখন বঙ্গের তখতে আসীন নবাব আলিবর্দি খাঁ। তাঁর রাজত্বকালে রাজার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করা হয়। কৃষ্ণচন্দ্র তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদে। ছাড়া পেয়ে রাজা যখন নদীপথে কৃষ্ণনগরে ফিরছেন শুনতে পেলেন বিসর্জনের বাজনা। দুর্গাপুজো করতে না পারায় অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে পড়েন।
সেই রাতেই রাজাকে স্বপ্নে দর্শন দেন জগদ্ধাত্রী। তাঁর পূজার নির্দেশ দেন যা দুর্গাপূজারই সমতুল! সেই থেকে কৃষ্ণনগরে দুর্গাপুজোর বিকল্প হিসেবে প্রচলিত হল জগদ্ধাত্রী পুজো। কৃষ্ণচন্দ্রের পূজায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফরাসীদের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী শুরু করলেন তৎকালীন অধুনা চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পূজা। যা পরে বিকল্প এক উৎসবের আকার নিল।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল