Bangla News Dunia , অজয় দাস :– আপনারা সকলেই জানেন যে কোন দেশকে যদি যুদ্ধে জয়ী হতে হয় তাহলে তার শত্রু দেশের যে ডিফেন্স রয়েছে সেই ডিফেন্স কে ভাঙতে হয়। আর বর্তমানে যুদ্ধে শত্রুর যে এয়ার ডিফেন্স রয়েছে তাকে ভাঙ্গা অত্যন্ত জরুরী। আর কোন দেশ যদি তার শত্রু দেশের এয়ার ডিফেন্সকে ভাঙতে পারে তাহলে সেই দেশ যুদ্ধে জয়ী হওয়া অবশ্যম্ভাবী। ( খুব সহজে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একদম নিচে দেওয়া ভিডিওটি দেখুন। এছাড়া ভিডিওটিতে ক্লিক করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে আরো ভিডিও দেখতে পারেন। )
ধরুন ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে , যদি ভারত – চীনের যে এয়ার ডিফেন্স রয়েছে সে এয়ার ডিফেন্সকে ভাঙতে পারে তাহলে চীনের মধ্যে গিয়ে ভারতের এয়ার ফোর্স এর ফাইটার জেট হামলা করতে সক্ষম হবে। যার ফলে চীনের যে স্থল সেনা রয়েছে তা ধ্বংস করতে সক্ষম হবে ভারতীয় এয়ার ফোর্স। এরই সাথে ভারত – চীনের মধ্যে রকেট হামলা করে চীনের বিভিন্ন শহর , বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।
কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো চীনের যে এয়ার ডিফেন্স রয়েছে তা খুবই মজবুত কারণ চীনের কাছে এস -৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে। এমনকি চীনের কাছে আজ থেকে পাঁচ বছর আগেই রাশিয়ার তৈরি এস -৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে।
তবে হ্যাঁ চীন এন টি সি আর এর সদস্য না হওয়ায় চীনের কাছে যে এস -৪০০ মিসাইল সিস্টেম রয়েছে তা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা করতে সক্ষম। তবে চীনের কাছে যে এস -৪০০ মিসাইল সিস্টেম রয়েছে তা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা করতে পারলেও , তার যে রাডার রয়েছে সেই রাডার ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যে কোন যুদ্ধাস্ত্রকে ডিটেক্ট করতে সক্ষম। যার ফলে চীন নিজের তৈরি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এর মাধ্যমে ভারতের যুদ্ধাস্ত্র , রকেট , মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।
আরো পড়ুন :- বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী লেজার অস্ত্র তৈরি করছে আমেরিকা, চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হবে
তবে ভারতের কাছে এখন সবচেয়ে বড় বাধা হলো চীনের যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তাকে ধ্বংস করা। আর ভারত ইতিমধ্যেই চীনের এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর ভারত চীনের সাথে যুদ্ধের সময় চীনের রাডার ও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি মিসাইল তৈরি করে ফেলেছে। এমনকি সেই মিসাইলের উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে ভারত।
আর এই মিসাইলের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে এই মিসাইল ভারতের যে সুখোই ফাইটার জেট রয়েছে সেই সুখোই ফাইটার জেটের মধ্যে যুক্ত করে দেওয়া হবে। আর এই মিসাইলের নাম রুদ্রম – ২ মিসাইল। আর এই মিসাইল একটি এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল।
আরো পড়ুন :- সবচেয়ে বড় সুখবর এলো ভারতের AMCA ফাইটার জেট নিয়ে
এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এই এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল কি আর এই মিসাইল কিভাবে কাজ করে ? বিশ্বের যে কোন দেশের কাছে যেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে তার রাডার থেকে রেডিয়েশন ছাড়ে। আর এই রেডিয়েশন এর মাধ্যমেই রাডারে ধরা পরে শত্রু দেশের যুদ্ধ বিমান , মিসাইল।
কিন্তু এই রুদ্রম -২ মিসাইল রাডার থেকে বেরোনো রেডিয়েশন সেন্স করে নেয়। আর তারপরে যেই স্থান থেকে রেডিয়েশন বের হচ্ছে সেই স্থানে সঠিকভাবে হামলা করতে সক্ষম এই রুদ্রম -২ মিসাইল । অর্থাৎ চীনের মধ্যে যেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম লাগানো রয়েছে সেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এর রাডার থেকে যেই রেডিয়েশন বের হবে সেই রেডিয়েশনকে সেন্স করে ভারতের তৈরি এই রুদ্রম -২ মিসাইল চীনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের উপরে সঠিক হামলা করবে। যার ফলে চীনের যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে তা ধ্বংস হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন :- পাকিস্তানের উপর সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া
এই মিসাইল ভারতীয় সেনায় যুক্ত হওয়াতে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের সৈন্য শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। কারণ ভারতের যে অগ্নি মিসাইল রয়েছে , ব্রহ্মস মিসাইল রয়েছে নানান মিসাইল রয়েছে সেই মিসাইলকে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে চীনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। কিন্তু তার আগে যদি এই রুদ্রম -২ মিসাইলের মাধ্যমে চীনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। তাহলে ভারতের থেকে ছাড়া বিভিন্ন মিসাইল চীনে গিয়ে সঠিকভাবে হামলা করতে সক্ষম হবে।
তবে বর্তমানে এই রুদ্রম -২ মিসাইলের রেঞ্জ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার কিন্তু আপনি জানলে খুশি হবেন যে পরবর্তী রুদ্রম -৩ মিসাইলের রেঞ্জ হতে পারে প্রায় এক হাজার কিলোমিটারের উপরে। এমনকি তার টেকনোলজিও আরো উন্নত হতে চলেছে।
আরো পড়ুন :- S-400 এর থেকেও খতরনাক যুদ্ধাস্ত্র ভারতকে অফার করলে ইজরায়েল।
প্রিয় দর্শক এই রুদ্রম -২ মিসাইল নিয়ে আপনার কি মতামত তা ভিডিওর নিচে কমেন্ট করুন।