Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : পালিত হচ্ছে উত্পন্না একাদশী। একাদশীতে উপবাস রাখা অত্যন্ত শুভ বলে শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে দেবী একাদশী শ্রীবিষ্ণুর একটি রূপ। এদিন অনেকের উপবাস রেখে নারায়ণের পুজো করেন। সব পাপ মুছে যায় বলে মনে করেন অনেকে। প্রতি মাসেই দুটি করে একাদশী তিথি পড়ে। একটি শুক্লপক্ষে এবং অন্যটি কৃষ্ণপক্ষে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও জৈনরাও একাদশী তিথি পালন করেন। আমাদের পঞ্চেন্দ্রিয়কে গঠন করেছে ১১টি অনুভূতি, তাদের প্রতিনিধিত্ব করে একাদশীর ব্রত।
নিজেদের অনুভূতি ও ইন্দ্রিয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে একাদশী তিথি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। মাসে দুটো করে এক বছরে মোট ২৪টি একাদশী রয়েছ। একাদশী বিষ্ণুর এক একটি রূপের সঙ্গে জড়িত। একাদশীতে কী খাওয়া যাবে এবং কী খাওয়া যাবে না তার নির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে।
আজ উত্পন্না একাদশীতে নির্জলা বা জল খেয়ে উপবাস রাখা যায়। অনেকে এদিন শুধু ফল খেয়ে থাকেন। তাকে বলে ফলাহারী উপবাস। অল্পবয়সী সুস্থ সবল মানুষের নির্জলা উপবাস রাখা উচিত। সকালে উঠে বিষ্ণুকে হলুদ মেশানো জল দিয়ে অর্ঘ্য দেওয়া উচিত। আগের রাতেও কিছু না খেয়ে থাকতে পারলে ভালো।
ফল দিয়ে বিষ্ণুর পুজো সারুন। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন, নির্জলা একাদশী হল সমস্ত একাদশী তিথির মধ্যে সবচেয়ে পবিত্র। হিন্দুরা মনে করেন, নির্জলা একাদশীর উপর উপবাস পালন করলে সারা বছরের জন্য পূণ্য লাভ করা সম্ভব। এই দিনে ব্রাহ্মণ বা কোনও দুঃস্থ ব্যক্তিদেরকে জলের তেষ্টা মেটানোর জন্য পাত্র প্রদান করলে গৃহে শান্তি বিরাজ করে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল