Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্তদের অধিকাংশই উপসর্গহীন। তাদের স্বাদ-গন্ধও থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে পজিটিভ হচ্ছেন তাঁরা। তাহলে ওমিক্রনের উপসর্গ ঠিক কী ? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছিলেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্তদের বেশির ভাগেরই একটি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তা হল হালকা গলা ব্যাথা।
দেশে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ চেন না ভাঙলে আরও দাপট দেখাতে পারে এই ভ্যারিয়্যান্ট মনে করা হচ্ছে এমনটা। ওমিক্রনের উপসর্গের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া অত্যন্ত আবশ্যক বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক ডা: রায়ান নোয়াচ জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে দুই ‘কমন’ উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তা হল গলা ব্যাথা এবং সর্দি।
শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক নয়, কিছুটা একই কথা জানাচ্ছেন ব্রিটেনের চিকিৎসকরাও। ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মাথাব্যাথা এবং গলাব্যাথা। ৩ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে করোনার ওমিক্রন স্ট্রেনে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে যে চারটি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তা হল- সর্দি, মাথা ব্যাথা বা যন্ত্রণা, ক্লান্তিভাব, কাশি, গলা ব্যাথা।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ডেল্টার থেকেও অধিক সংক্রামক ওমিক্রন। কিন্তু, এই স্ট্রেন অনেক বেশি সংক্রামক। একসঙ্গে বহু মানুষ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ধাক্কা খেতে পারে।এই ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে। সেক্ষেত্রে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ২১৩ জনের দেহে থাবা বসিয়েছে করোনার ওমিক্রন স্ট্রেন।
ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তদের বেশিরভাগের দেহেই কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এই সংক্রামক ভ্যারিয়্যান্টের হাত থেকে রেহাই পাওয়ায় জন্য করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত বলে জানাচ্ছে অভিজ্ঞ মহল।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল