Bangla News Dunia, অজয় দাস :- নারী শরীরে পিরিয়ড একটি নিয়মিত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আর এই প্রক্রিয়া সাধারণত ২৮ দিন পর পর আসে। কিন্তু অনেক সময় এই প্রক্রিয়া সময়ের কয়দিন আগে বা কয়দিন পরে ও আসতে পারে। অনেক সময় এই পিরিয়ড আবার এক মাস বা তার থেকে বেশিও হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড না হলে সমস্ত নারীরাই চিন্তায় পরে যান। আরো বেশি করে বিবাহিত মহিলারা অকাঙ্কিত প্রেগন্যান্সির ভয়ে চিন্তায় পরে যান। আর গর্ভধারণের সময় পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। তবে অনেক সময় গর্ভধারণ ছাড়াও অন্যান্য কারণেও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কারণ গুলি –
মানসিক চাপ :- হঠাৎ করে মানসিক চাপ বাড়লে হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া হতে পারে। এর ফলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে পিরিয়ড অনিয়মিত হবার সম্বাভনা থাকে। এই মানসিক চাপ ব্রেকআপ , কোনো প্রিয়জন বিয়োগ , অথবা কোনো কাজে ব্যার্থতার থেকে হতে পারে।
[ আরো পড়ুন :- ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন ? কি ভাবে মুক্তি পাবেন এই ব্রণ থেকে জানুন ]
হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া :- বিভিন্ন কারণে অনেক সময় হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যায়। যেমন – হঠাৎ করে অতিরিক্ত ব্যায়াম করার ফলে , অনিয়মিত খাওয়া দাওয়ার ফলে বা ডায়েট করার ফলে শরীরের ওজন করে পিরিয়ড বিলম্ব হতে পারে। শরীরের বি এম আই যদি ১৮/১৯ সের নিচে নেমে যায় তবেও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।
হরমোনে ভারসাম্য হীনতা :- শরীরের গলার নিচে যে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে তার থেকে থাইরয়েড হরমোন কম বা বেশি নির্গত হলে তা শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া করে। যার ফলে পিরিয়ড অনিমিত হতে পারে। থাইরয়েড হরমোন মানব শরীরের সকল কার্য স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।