Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : আপনার ভূতের ভয় আছে নাকি? রাতে একা একা শুতেও পারেন না? আপনি ভয় যতই পান, ভূতের ব্যাপারে আপনার কৌতূহল নিশ্চয়ই রয়েছে। জেনেই নিন আমাদের ভারতের সবথেকে ভৌতিক ১০টি জায়গার নাম। দেখুন একনজরে —–
১. মীরাট এর জিপি ব্লক: এইখানে অনেক মানুষই দেখেছেন সাদা পোশাকে চারটি ছেলে একেবারে দোতলা বাড়ির ছাদে বসে গল্প করছে। ওদের হাতে রয়েছে বিয়ারের গ্লাসও। কখনও সখনও কেউ কেউ দেখেছেন, একটি মেয়েও লাল পোষাক পরে বাইরে থেকে বেরিয়ে আসছে। ফাঁকা দোতলা বাড়ির ভয়ে এখন আর কেউ সেদিকে যায় না।
২. দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট : দিল্লী ভারতের রাজধানী। ভূতের ভয় সেখানে কম নয় মোটেই। সেখানকার ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চল গাছে ঘেরা। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে সাদা শাড়ি পরা মহিলা মাঝে মাঝেই লিফট চান। এই রাস্তাতেও মানুষ খুব দরকার না পড়লে, আর যায় না।
৩. পুনের সানিওয়াড়ওয়াড়া কেল্লা : পুনের এই কেল্লার এক ঐতিহাসিক গল্প রয়েছে। এখানে পূর্ণিমার রাতে নাকি রাজকুমারকে দেখা যায়। রাজকুমারের যখন ১৩ বছর বয়স, তখন তাঁকে খুন করা হয়েছিল। রাজকুমারের অতৃপ্ত আত্মা নাকি এখনও পূর্ণিমার রাতে চলে আসে।
৪. থানের বৃন্দাবন সোশ্যাইটি : এখানে এক বহুতলে দুই নিরাপত্তারক্ষী কর্মরত থাকা অবস্থায়, একজন অন্য জনকে গুলি করে মেরে ফেলে। বহুতলে নাকি ওই মৃত নিরাপত্তারক্ষীর আত্মা ঘুরতে আসে। ভৌতিক জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বৃন্দাবন সোশ্যাইটি।
৫. মুম্বইয়ের মাহিমের ডিসুজা চাওল : এখানে নাকি এক মহিলা জল খাবার সময় মারা যান। তারপর ভয়ে সেই জন্য কেউ আর ওখানে যায় না। তবে, লোকে পাশাপাশি এটাও বলে যে, ওই মহিলা ভূত কারও ক্ষতি করেনি।
৬. গুজরাটের দুমাস বিচ : গুজরাটের এই সমুদ্র সৈকতে মানুষ পোড়ানো হয়। তাদের আত্মারা নাকি রাতে সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ায়। রাতে বিচে হাঁটতে গেলেই কাঁধের কাছে কারও ফিসফিস করে কথা বলার শব্দ শুনতে পাবেন। সেই ভয়েই রাতে কেউ বিচে যায় না বলেই চলে।
৭. রাজস্থানের কোটার রাজবাড়ি ভবন : প্রায় ১৭৮ বছরের পুরনো। রাজবাড়িতেও রাত্রিবেলা এক পুরুষকে হাঁটতে দেখা যায়। অনেকেই সেই ছায়ামানুষকে রাতের অন্ধকারে রাজবাড়ির অলিন্দে হাঁটতে দেখেছেন।
৮. পশ্চিমবঙ্গের ডাউহিল : ডাউহিল ফরেস্টে অনেক মানুষকে খুন করা হয়। অনেকেই দেখেছেন ভিক্টোরিয়া বয়েজ স্কুলের মাঠে একটি বালকের মাথা কাটা। ডাউহিল সত্যিই শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয়, গোটা দেশের এক ভয়ঙ্কর জায়গায় পরিণত হয়েছে।
৯. রাজস্থানের ভানগড় কেল্লা : রাজা মাধো সিং এই কেল্লা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে এই কেল্লাটি একদিন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।বাড়ি থেকে কেউ আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। সেই থেকে রাতে আর কেউ কেল্লা মুখো হন না।
অদ্ভুত লাগছে ! তবে ভূতকে কীভাবে সামালবেন ?
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল