Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : Swami Vivekananda-র ধর্মীয় চিন্তাধারার গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল নব্য বেদান্তবাদ। বিবেকানন্দ প্রাচীন অদ্বৈত দর্শনকে নিজস্ব মতাদর্শ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে এটিকে জনপ্রিয় করে তােলেন। তিনি কুসংস্কার, অস্পৃশ্যতা, জাতিভেদ, ধনী-দরিদ্রের প্রভেদ দূর করেন। জাতিকে ঐক্য ও কর্মশক্তিতে উদ্দীপ্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর নব্য বেদান্তের অভিমুখ ছিল— সমগ্র জগতের কল্যাণেই নিজের মােক্ষলাভ। দেখুন তার বিখ্যাত উক্তি —–
জীবসেবার আদর্শ : তার ধর্মদর্শনে ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’র আদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে। বিশ্ববাসীর প্রতি তার দীক্ষা—“জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।”
বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের আদর্শ প্রচারক : ১৮৯৩ সালে আমেরিকার শিকাগাে ধর্ম সম্মেলনে ভারতের আধ্যাত্মিকতার সনাতন হিন্দু স্বরূপ তিনি বিশ্ববাসীর সম্মুখে তুলে ধরেন। বেদান্তের নতুন ব্যাখ্যা এবং কর্মযােগের প্রচার করে বিশ্ববাসীকে অমৃতলােকের সন্ধান তিনি দিয়েছেন। যুদ্ধ ও ধ্বংসের পরিবর্তে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব সমৃদ্ধির একমাত্র পথ।
মানুষ গড়ার ধর্ম : স্বামীজির কাছে ধর্ম’ কেবলমাত্র আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানা সমষ্টিমাত্র নয়, ‘ধর্ম’ তার কাছে মানুষ গড়ার হাতিয়ার। ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে, সেই ধর্মকে তিনি গ্রহণ করেননি। জাতি ধর্ম বর্ণ ভেদহীন সনাতন মানব ধর্মের জয়গান তিনি গেয়েছেন।
বিবেকানন্দের “Man making religion’ ও নব্য বেদান্তবাদ’-র আদর্শ মানুষের মনের জমিকে করেছে উর্বর। তার ভাবাদর্শে বিশ্ববাসী হয়েছে স্নাত। পরাধীন দেশবাসীকে তিনি দিয়েছেন নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। ঋষি অরবিন্দের পরিভাষায়—“বিবেকানন্দ আমাদের জাতীয় আদর্শের গঠনকর্তা।”
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল