Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : অবসাদ ব্যক্তিকে দুর্বল করে তোলে, পাশাপাশি চিন্তা-ভাবনার শক্তি কমিয়ে দেয়। দৈনন্দিন জীবনে ব্যক্তির ওপর চাপ সৃষ্টি করে রেখেছে। পরিশ্রম সত্ত্বেও সাফল্য অর্জন করতে না-পারলে ধীরে ধীরে অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পড়ছে। যা তাদের মানসিক দিক দিয়ে দুর্বল করছে। তবে জীবনে নানান ঘটনাবলী নয়, বরং গ্রহ-নক্ষত্রও ব্যক্তির অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পড়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জ্যোতিষ অনুযায়ী অবসাদের কারণ
১. চন্দ্র ও বুধ অবসাদের গুরুত্বপূর্ণ কারণ। জ্যোতিষ অনুযায়ী চন্দ্র মনের এবং বুধ বুদ্ধির কারক।
২. আবার চন্দ্র সূর্যের নিকটবর্তী কক্ষে থাকলেও অবসাদের শিকার হতে পারে জাতক।
৪. কোনও ব্যক্তির মস্তিষ্কে দ্বীপ বা কাটা চিহ্ন থাকলেও ব্যক্তি অবসাদ গ্রস্ত হতে পারে।
৫. চন্দ্রের ওপর রাহু বা শনির প্রভাব থাকলে জাতক অবসাদের কবলে পড়তে পারেন।
৬. কোষ্ঠিতে শনি ও চন্দ্রের যুতি থাকলে বা চন্দ্র পাপ গ্রহের কক্ষে বিরাজ করলে অবসাদের শিকার হতে পারেন কোনও জাতক।
৭. কোষ্ঠিতে চন্দ্র দুর্বল হলেও ব্যক্তি অবসাদগ্রস্ত হতে পারে।
৮. কোষ্ঠির চতুর্থ স্থান দুর্বল হলে ব্যক্তি অবসাদের শিকার হতে পারে।
মুক্তির উপায় —-
১. অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে চন্দ্রকে মজবুত করতে হবে। এর জন্য প্রতিদিন রুপোর গ্লাসে জল পান করুন। রুপোর গ্লাসে জল পান করলে চন্দ্র মজবুত হয় এবং ব্যক্তি অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
২. চন্দ্রের কুপ্রভাব খর্ব করার জন্য মুক্তো ধারণ করার পরামর্শ দেয় জ্যোতিষ শাস্ত্র। মুক্তো চন্দ্রের রত্ন।
৩. শিব নিজের মস্তকে চন্দ্র ধারণ করেছেন। তাই প্রতিদিন শিবকে জল অর্পণ করুন।
৪. অত্যধিক অবসাদ থাকলে কোনও না-কোনও রুপোর অলঙ্কার অবশ্যই ধারণ করবেন।
৫. শিবের মন্ত্র ওম নমঃ শিবায় জপ করলে অবসাদমুক্তি ঘটতে পারে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল