আপনি কি একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছে ? জানাবে আপনার পালস রেট

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ফিটনেস সঠিক রাখা প্রয়োজন। ডায়েট, শরীরচর্চা-নিজেকে রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করেন। ঘড়ি থেকে স্মার্টফোন- ফিটনেস অ্যাপ কিন্তু এখন থাকে সর্বত্র। দিনকাল বদলেছে তাতে কিন্তু ফিট থাকাটা ভীষণ জরুরি। হার্টের সমস্যা আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও বেড়েছে হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা। এখন সকলেরই হার্ট রেট কিন্তু মেপে রাখা ভীষণ প্রয়োজন। ১৭ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা তাঁদের হার্টবিট ৬০-১০০ এর মধ্যে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তা কিন্তু অনেকটা বেশি হয়। মোটামুটি ৫০-৭০ হার্টবিট হল স্বাভাবিক।

ডাঃ জয়দীপ মেনন, পরামর্শক, অ্যাডাল্ট কার্ডিয়োলজিস্ট, অমৃতা হাসপাতাল, কোচি- জানান যখন মানুষ বিশ্রাম নেন কিন্তু তাঁর সবথেকে ভাল হার্টরেট পাওয়া যায়। এছাড়াও যাঁরা ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে হার্টরেট তুলনায় অনেকটাই বেশি। যাঁদের কোনও অসুস্থতা রয়েছে, যাঁরা পুরোপুরি বেড রেস্টে আছেন তাঁদের হার্টরেট বেশি হয়। যাঁরা মানসিক চাপ, উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে বা স্নায়ুর সমস্যায় রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু হার্টবিট বেশি হয়।

যাঁদের হাইপোথাইরয়েডিজম রয়েছে, হাইপোথার্মিয়া রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু হার্টবিট কম থাকে। কম হৃদস্পন্দনের সঙ্গে ক্লান্তি, অস্থিরতা সব কিছু ভুলে যাওয়ার মত সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। অ্যানিমিয়া, থাইরয়েড, বিপাকীয় সমস্যা, লিভারের সমস্যা এবং শরীরে কোনও সংক্রমণ থেকে থাকে তাহলে হার্টরেট সব সময় বেশি থাকে। আবার টাইফয়েড বা হার্টের কোনও সমস্যা হলে কিন্তু সেক্ষেত্রে হার্টরেট কম থাকে।

রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে তখনও কিন্তু হৃদস্পন্দন কম থাকে। চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যি পরামর্শ করে নেবেন। সব বাড়িতেই এখন অক্সিমিটার থাকে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করার পাশাপাশি হৃদসম্পন্দনও কিন্তু সহজে পরিমাপ করা যায়। কোভিড পরবর্তী সময়ে অনেকেই নানা সমস্যায় পড়েছেন। যাঁরা কোভিড থেকে সেরে উঠছেন তাঁরাও কিন্তু হার্টের নানা সমস্যায় ভুগছেন এমনটাও শোনা গিয়েছে।

আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন