Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : সব পেশার মতো পোল্ট্রি চাষেও অনেক ঝুঁকি রয়েছে। পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে পোল্ট্রি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। মুরগির রোগ লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানা যতটা জরুরি, মুরগি পালনে কী কী যত্ন নেওয়া উচিত তা জানাও সমান জরুরি। পোল্ট্রি ফার্মিং ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পড়ুন। মুরগি পালনের ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো মাথায় রাখুন ——
১. পোল্ট্রি খামারীদের পোল্ট্রি ফার্মের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলির যত্ন নেওয়া দরকার ।
২. মুরগিকে সব সময় ঘেরা দিয়ে রাখতে হবে।
৩. অপ্রয়োজনীয় লোকদের প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত নয়। এছাড়াও অন্য প্রাণীকে মুরগির সংস্পর্শে আসতে দেওয়া উচিত নয়।পাখির সংস্পর্শে আসা সবকিছু পরিষ্কার করে যত্ন নেওয়া উচিত।
৪. মুরগি পালনের স্থান ও তার আশেপাশের পরিচ্ছন্নতার প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়ানো যায়।
৫. পাখিদের খাদ্য ও জল প্রতিদিন পরিবর্তন করতে হবে। মুরগির শেড নিয়মিত জীবাণু মুক্ত করতে হবে।
৬. নতুন পাখিকে অন্তত ৩০ দিনের জন্য সুস্থ পাখি থেকে দূরে রাখতে হবে।
৭. রোগের বিস্তার রোধ করতে মুরগির সংস্পর্শে আসার আগে ও পরে হাত ধোয়ার পাশাপাশি কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করে সংক্রমণ মুক্ত করতে হবে।
৮. পাখির সংস্পর্শে আসা যন্ত্রপাতি ইত্যাদিকেও সংক্রমণ মুক্ত করতে হবে।
মুরগির স্বাস্থ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।এছাড়াও পাখিদের চোখ, ঘাড় এবং মাথা, পালকের রঙ বা পায়ের রঙের পরিবর্তন এবং পাখির কম ডিম পাড়ার জন্য সতর্ক হওয়া উচিত কারণ এগুলি রোগ এবং সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণ রোগ বা মুরগির মৃত্যু অবিলম্বে নিকটস্থ ভেটেরিনারি হাসপাতালে জানাতে হবে।
পোল্ট্রি ফার্মিং এর জন্য সতর্কতা কি কি ?
মুরগির খামারের সাথে সম্পর্কিত বিষয় গুলিও পোল্ট্রি চাষীদের যত্ন নেওয়া উচিত। ফার্মে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে এবং জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। কুকুর, বিড়াল এবং অন্যান্য বন্য প্রাণী পোল্ট্রি ফার্ম প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত নয়। রোগাক্রান্ত এলাকায় মুরগি পালনের জন্য সর্বাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করে পোল্ট্রি ফার্মকে সম্পূর্ণরূপে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল