Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : মহা সমারোহে পালন করা হচ্ছে মহা শিবরাত্রি। ‘শিব’ শব্দের অর্থ মঙ্গলম, সমস্ত শুভ। প্রাচীন ঐতিহ্যে শিবকে স্বয়ং ঈশ্বর ছাড়া আর কিছুই হিসাবে বিবেচনা করা হয় না – উদ্ভবের উৎস, ভরণ-পোষণ ও সমগ্র সৃষ্টির সমাধান বিন্দু হল বিশুদ্ধ বিদ্যমান চেতনা। বেদ ও উপনিষদে শিবকে এভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। শিবের উপাসনা হল শক্তির উপাসানা। আর তাই শিবের উপাসনা মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষেই করে থাকেন। পঞ্জিকা অনুযায়ী ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথি ১ মার্চ ভোর ৩টে ১৬ মিনিটে শুরু হবে এবং শেষ হবে ২ মার্চ সকাল ১০টায়। এই মধ্যবর্তী সময়ে মহাদেবের পুজো করলে হবে। পুরাণে রয়েছে এদিন শিব-পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। এই দিন ভক্তিভরে শিবের আরাধনা করলে মনস্কামনা পূরণ হয়।
পুজোর প্রধান উপকরণ হল ফুল। শিবকে দুধ-ঘি-মধু মাখিয়ে স্নান করানো হয় ডাবের জল বা গঙ্গাজল দিয়ে। এরপর বেলপাতা আর আকন্দের মালা দিয়ে পুজো দেওয়া হয়। ভোলানাথের প্রিয় ফুল হল নীল অপরাজিতা, আকন্দ আর হলুদ কলকে। এই তিন ফুলই মহাদেবকে নিবেদন করতে। এছাড়াও দিতে পারেন ধুতরো ফুল। শিবলিঙ্গ স্নান করিয়ে ভক্তিভরে পুজো দিন এই তিন ফুল দিয়ে। আকন্দের মালা শিবরাত্রির দিনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ফুলটিকে ভুললে কিন্তু চলবে না। এছাড়াও পাঁচ রকম গোটা ফল শিবকে নিবেদন করুন। ফলের মধ্যে বেল, শসা, শাঁখালু এসব কিন্তু অবশ্যই রাখবেন।
শিবরাত্রিতে অনেকে তিন প্রহরে জল ঢালেন। আবার পুজো দেন সন্ধ্যেতে। তবে সকাল থেকেই চর্তুদর্শী। নিজের সুবিধেমতো আপনি পুজো সারতে পারেন। মনের ভক্তি আসল। অনেকেই গরিব মানুষদের খাওয়ান। নতুন বস্ত্র দেন। আর সব সামাজিক কাজের মাধ্যমেই কিন্তু মনস্কামনা পূরণ হয়। সংসারের সুখ শান্তি বজায় রাখতে এবং প্রিয়জনের মঙ্গলকামনায় অবশ্যই কলকে-আকন্দ-নীল অপরাজিতা আর ধুতরো ফুল দিয়ে শিবের পুজো করুন। পুজো দিয়ে নিরামিষ আহার করুন। পোড়া বা স্যাঁকা জাতীয় কোনও খাবার এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। জল, ডাবের জল এসবও কিন্তু খাবেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল