Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : দেশের বিভিন্ন অংশে পালিত হচ্ছে মহাবীর জয়ন্তী। শুধুমাত্র ভারত নয়, গোটা বিশ্বের জৈন সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল এই দিনটি। হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবীরের জন্ম। তবে ইংলিশ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, তা তিথি অনুযায়ী মার্চ ও এপ্রিলের মধ্যবর্তী সময়ে পালিত হয়।
জৈন ধর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, মোট ২৪ জন তীর্থঙ্করের আর্বিভাবের কথা জানা যায়। এদের শিক্ষার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে জৈন ধর্ম। এদের মধ্যে শেষ তীর্থঙ্কর হলেন মহাবীর। যিশু খৃস্টের জন্মেরও ৫৪০ বছর আগে বিহারের বৈশালী গ্রামে রাজ পরিবারে জন্ম হয় মহাবীরের। মাত্র ৩০ বছর বয়সে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। সাড়ে ১২ বছরের দীর্ঘ সাধনার পর জ্ঞান লাভ করেন। মোক্ষ লাভ করেছিলেন মহাবীর।
ভারতে জৈন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা কোটিরও কম। তবে উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায় জৈনদের অস্তিত্ব রয়েছে। বিশেষত শিক্ষাক্ষেত্রে বৃত্তিদানের এক প্রাচীন প্রথা জৈনদের মধ্যে আজও বর্তমান। জৈনদের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে শিক্ষিতের সংখ্যাও বেশি। জীবনের মানোন্নয়নে অহিংসা (সবার প্রতি প্রেম), সত্য (সত্যের সঙ্গে থাকা), অস্তেয় (চুরি না করা), ব্রহ্মচর্য (ইন্দ্রিয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ) এবং অপরিগ্রহ (সংসারে অনাসক্তি) – ৫ ব্রত পালনের শিক্ষা দিয়েছিলেন।
এই শুভ দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করে বিশ্বের জৈন সম্প্রদায়। মহাবীরের মূর্তি নিয়ে রথযাত্রা বের করা হয়। জীব হত্যার বিরুদ্ধে জৈনদের খাবারও বিশেষ হয়। খাবারে পেঁয়াজ ও রসুন বর্জন করেন জৈনরা।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল