দম্পতির বয়সের পার্থক্য কত হলে বিবাহিত জীবন সুখের হয় ? দেখুন কি বলছে গবেষণা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ভারতীয়দের জীবনে বিয়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যুগের পর যুগ ধরে ভারতে বিয়ের মাধ্যমে একজন মহিলা ও পুরুষ একসঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুটি মানুষের পাশাপাশি দুটি পরিবারেরও মিলন হয়। আমাদের এখানে বিয়ের বিষয়ে মানুষের কিছু ধারণা রয়েছে। আগে ভাবা হতো, পাত্রের বয়স পাত্রীর থেকে বেশি হওয়া প্রয়োজন। যদিও ধারণা অনেকটাই পালটে গিয়েছে। সেলিব্রিটিরা এখন আর এই বয়সের বেড়াজাল মানেন না। এবার তাঁদের এই দেখিয়ে দেওয়া পথে হাঁটছেন সাধারণ মানুষও। তাঁরাও বয়সের গণ্ডি পেরিয়ে বিয়ের দিকে পা বাড়াচ্ছেন।

diana collage

তবে বাড়ির বড়রা বিষয় গুলি ঠিক চোখে দেখছেন না। তাঁরা এখনও সেই পুরনো নীতিতে বিশ্বাসী। যুব সমাজের কাছে এখনও ধাঁধার মতোই রয়ে গিয়েছে সুখী দাম্পত্য ও বয়সের ব্যবধানের বিষয়টি। তবে এখন আর চিন্তা নেই। কারণ একটি গবেষণা সামনে এনেছে এই বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য। গবেষণাটি করেছে আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণাটি করা হয় ৩ হাজার মানুষের উপর। সুখী দাম্পত্য, বিবাহবিচ্ছেদ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। গবেষণা জানিয়েছে আপনাদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য যত বেশি হবে, ঠিক ততটাই বাড়বে সমস্যার আশঙ্কা। ডিভোর্সের আশঙ্কাও বাড়বে।

এই প্রসঙ্গে গবেষণা জানাচ্ছে, দুজনের মধ্যে বয়সের গ্যাপ ৫ বছর থাকলে ডিভোর্সের আশঙ্কা ১৮ শতাংশ। নিজেদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১ বছর হলে ডিভোর্সের আশঙ্কা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩ শতাংশে। অপরদিকে বয়সের পার্থক্য যদি ১০ বছর হয়, তখন ডিভোর্সের আশঙ্কা বেড়ে যায় ৩৯ শতাংশ। এই পার্থক্য ২০ বছরে পৌঁছালে বিবাহবিচ্ছেদের আশঙ্কা প্রায় ৯৫ শতাংশ।

এই গবেষণা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বয়সের পার্থক্য কম হলে সেই বিবাহিত জীবন অনেক ভালো হয়। এমনকী তাঁদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা থাকে অনেকটাই বেশি। আর বয়সের পার্থক্য বেশি হলে এই সমস্যা দেখে দেওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। গবেষণা থেকে জানা যায় বিবাহের পর সন্তানের মুখ দেখতে পারলে ডিভোর্সের আশঙ্কা কমে দাঁড়ায় ৫৯ শতাংশ।

গবেষণাটি থেকে জানা যাচ্ছে, বিয়ের পর একসঙ্গে থাকা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে একসঙ্গে মাত্র ২ বছর কাটাতে পারলেই আপনার ডিভোর্সের আশঙ্কা কমতে পারে প্রায় ৪৩ শতাংশ। যাঁরা মোটামুটি ১০ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দেন, তাঁদের ডিভোর্সের আশঙ্কা কমে ৯৪ শতাংশ।

বয়সের পার্থক্য বেশি হলে একে অপরের চাহিদা, ইচ্ছে, জীবন দেখার পদ্ধতিতে বদল আসে। তাই এই বিষয়টিও অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। তবে এভাবে সুখী সংসারের কোনও সূত্র বেঁধে দেওয়া দেওয়া চলবে না।

আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন