Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : চাঁদে ঘুরতে যাবেন ? তাহলেই পেয়ে যাবেন মুশকিল আসান। কারণ, চাঁদের মাটি থেকেই তৈরি হবে অক্সিজেন, মিলবে অন্যান্য জ্বালানিও ! এমনটাই দাবি করেছেন চিনের গবেষকরা। সম্প্রতি, চাঁদের মাটি নিয়ে বিস্তারিত একটি সমীক্ষা করেন গবেষকরা। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চাঁদের সেই পাথুরে মাটিতেই এখনও বহু খনিজ যৌগ সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। যা থেকে খুব সহজেই কার্বন ডাই-অক্সাইড, অক্সিজেন এবং জ্বালানি উৎপাদন করা সম্ভব। এমনকী, এই মাটি থেকেই প্রচুর পরিমাণ হাইড্রোজেন এবং মিথেন প্রস্তুত করা যাবে। বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চালানো যায়।
একটি পত্রিকায় এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই চাঁদে একাধিক অভিযান করার পরিকল্পনা রয়েছে NASA-র। চিনেরও একই উদ্দেশ্য। সমালোচকদের একাংশের দাবি, চাঁদের মাটি থেকেও ব্যবসায়িক ফায়দা লুঠতে চাইছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। সেই কারণেই অভিযান নিয়ে এত আগ্রহ। যদিও এই বিষয়ে কখনও কোনও দেশই সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি।
চিনের ন্যানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইংফ্যাং ইয়াও ও তাঁর সহকর্মীরা চাঁদ থেকে নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা মাটি ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করে দেখেছেন। গবেষকদের দাবি, এই মাটি অত্যন্ত উন্নতমানের অনুঘটক। এবং এর থেকে খুব সহজেই কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জল উৎপন্ন করা সম্ভব। এই মাটি থেকে বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে মিথেন তৈরি করা যাবে। যা চাঁদের বুকে গড়ে ওঠা যেকোনও সভ্যতা জন্যই জ্বালানির জোগান দেবে। চিনের গবেষকদের দাবি, এই মাটিতে প্রচুর পরমাণে এবং অত্যন্ত উন্নতমানের আকরিক লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের যৌগ রয়েছে। যা সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে সক্ষম। পৃথিবীতে গাছ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন ও জল উৎপাদন করে।
এরপর চাঁদের মাটির নমুনা নিয়ে বিভিন্ন রাসায়নিকের সঙ্গে তার বিক্রিয়া ঘটান চিনের বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা যায়, গাছের মতোই চক্রাকারে সালোসংশ্লেষ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে সক্ষম চাঁদের মাটি। তাই এই প্রক্রিয়াকে কাজে লাগাতে পারলে মানুষের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, জ্বালানি এবং জল চাঁদের মাটি থেকেই পাওয়া সম্ভব। আর এই তিনটি জিনিসের জোগান অফুরান হলে চাঁদে বসত গড়ে তুলতেও কোনও অসুবিধা নেই।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল