Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : থামলে চলবে না- আপাতত এটাই মন্ত্র ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ে নাম লেখানো ঋষি সুনকের। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার প্রতিযোগীতায় তৃতীয় রাউন্ডেও জিতে গেলেন ঋষি। সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে ছিটকে যান আরও এক প্রতিযোগী। যদি ঋষি সুনক দৌড়ে জিতে যান, তবে তিনিই ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন, যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নামে একের পর এক বিতর্ক আগেই ছিল, গত মাসেই ফের নতুন করে বিতর্কে জড়াতেই ব্রিটেনে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে শুরু করেছিলেন মন্ত্রীরা। ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। এর একদিনের মধ্যেই আরও প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ায়, বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়েন বরিস জনসন।
সোমবার ছিল কনজারভেটিভ আইন প্রণেতাদের ভোটের পালা। ৩৫৮টি ভোটের মধ্যে সেখানে সর্বোচ্চ ভোট পড়ে ঋষি সুনকের পক্ষেই, ১১৫টি ভোট পান সুনক। এই নিয়ে আপাতত নির্বাচনের তিনটি ধাপেই এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনক। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিদেশ সচিব ট্রুস টুগেনডাট। সোমবারের নির্বাচনে ট্রুস মাত্র ৩১টি ভোট পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তী কনজারভেটিভ পার্টির ২০ হাজার সদস্যের ভোট গ্রহণের পরই আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।
তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই তাঁকে ঘিরে একাধিক বিতর্কও তৈরি হচ্ছে। ৪৯ বছর বয়সী ঋষি সুনকের স্ত্রীর বিপুল সম্পত্তি থেকে শুরু করে দামী কাপের সেট, নির্বাচনী প্রচারে ভুল বানান-নিত্যনতুন কারণে বিতর্কে জড়াচ্ছেন ঋষি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও তাঁর সতীর্থদের বলেছেন, যাকে খুশি তাঁরা ভোট দিতে পারেন, ঋষি সুনককে যেন ভোট না দেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল