Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : করোনা এবং ডেঙ্গির পাশাপাশি শহরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যার প্রভাবে বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হাই ফিভারে ভুগছে কলকাতাবাসী। জ্বর উঠে যাচ্ছে ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। সঙ্গে সর্দি, কাশি ও মাথা যন্ত্রণা। শহরের অধিকাংশ ঘরেই এখন এই চিত্র। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর সঙ্গে কোভিড কিংবা ডেঙ্গির কোনও সম্পর্ক নেই।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে তরুণদের উপর। শিশুরাও কাবু হচ্ছে হাই ফিভারে। তাদের মধ্যে এই ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাল লোড অনেক বেশি পড়ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মুহূর্তেই দুর্বল করে তুলছে। ফলস্বরূপ শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই ভাইরাসের সঙ্গে রাইনোভাইরাস , ডেঙ্গি এবং এইচ১এন১-এর কোনও মিল নেই।
কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
আচমকাই শহরে থাবা বসানো এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রসঙ্গে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, নতুন ভাইরাসের সঙ্গে করোনা বা ডেঙ্গির কোনও মিল নেই। তবে কোভিডের মতো এই ভাইরাসও ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলছে। যার জেরে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ১০৩ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠে যাচ্ছে। দু’তিন দিন পর্যন্ত হাই ফিভার থাকছে। এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস চিহ্নিত করার জন্য নানা পরীক্ষা করার পর্য়োজন।
আরো পড়ুন :- ‘কেউ ছাড় পাবেন না’, বিস্ফোরক পার্থ ! অসুস্থতার নাটক করছেন মন্তব্য ইডি
আপাতত প্যারাসিটামলের ডবল ডোজের কোর্স এই জ্বর থেকে মুক্তি দিচ্ছে। যদিও দুর্বলতা সহজে কাটছে না। ফলে প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামের। শিশুদের ক্ষেত্রে মাথায় ৩০ মিনিট অন্তর জলপট্টি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ডা. অরিন্দম বিশ্বাস আরও বলেন, ” ভাইরাস মূলত মরশুমি। সমস্ত বয়সের মানুষকেই ভাইরাল ফিভার কাবু করে ফেলছে। ফলে কোভিডের মতো এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতেও মাস্কের ব্যবহার করা উচিত।
আরো খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল