Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : কখনও দুর্গা, কখনও অন্নপূর্ণা আবার কখনও লক্ষ্ণী রূপে পূজিত হন দেবী। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর প্রাক্কালে শুক্লা চতুর্দশীতে তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি হিসাবে পরিগণিত হয়। শনিবার, শুক্লা চতুর্দশীতে সকাল থেকেই তারাপীঠ মন্দিরে শুরু হয়েছে বিশেষ পুজো-পাঠ। তারা মায়ের আবির্ভাব তিথিতে পুজো দিতে তারাপীঠে ভক্তেরও ঢল নেমেছে।
কথিত আছে, মায়ের স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী, শুক্লা চতুর্দশীতেই দেবীর শিলামূর্তি শ্মশান থেকে নিয়ে এসে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন জয়দত্ত সওদাগর। তাই এই দিনটিকেই তারামায়ের আবির্ভাব তিথি হিসাবে ধরা হয়। প্রতি বছরই শারোদৎসবের শেষে এবং কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর প্রাক্কালে তারা মায়ের বিশেষ পুজো-অর্চনা হয় তারাপীঠে।
তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে এদিন দিনভোর তারাপীঠে বিশেষ পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। এদিন ভোরে আরতির পরে মা তারা-কে মূল গর্ভগৃহে থেকে বের করে এনে বিরাম মঞ্চে শ্মশানের দিকে মুখ করে অর্থাৎ পশ্চিম দিক করে বসানো হয়। স্নান করানোর পর রাজ-রাজেশ্বরী বেশে মা-কে সাজানো হয়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে মঙ্গল আরতি। আরতি শেষে দেবীকে শীতল ভোগ দেওয়া হয়। এদিন বিরাম মঞ্চেই দেবী থাকেন সারাদিন। সেখানে চলে পুজো-অর্চনা, ভোগদান।
আরো পড়ুন :- 26,000 কোটি টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ! এই টাকার সুবিধা পাবেন আপনিও
অনেকের মতে, এদিন শ্মশান থেকে তারা মা-কে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাই এদিন শ্মশানমুখী করে দেবীকে বসানো হয়। তবে আরেকটি কথাও বিশেষ প্রচলিত রয়েছে। আবির্ভাব তিথিতেই দেবী তারার সঙ্গে তাঁর বোন, দেবী মৌলাক্ষীর দেখা হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল