Bangla News Dunia, সারদা দে :- অ্যান্টি প্যারাসাইটিক বা পরজীবী নাশক ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে করোনা প্রতিরোধে। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় মোনাশ এর গবেষকরা। তারা আরো জানানা যে মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ধরাশায়ী হবে করোনা ভাইরাস এই ওষুধের জেরে। তাদের মতে অ্যান্টি প্যারাসাইটিক ওষুধ ইভারমেকটিনের একটি ডোজেই কমানো যেতে পারে করোনা কে। সম্প্রতি অ্যান্টিভাইরাল রিসার্চ জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
[ আরো পড়ুন :- মাস্ক পড়া নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করলো স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়। ]
এই ঔষধটি এইচ আই ভি , ডেঙ্গি সহ বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। সমস্ত পরীক্ষার পরে তারা জানতে পেরেছেন যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমস্ত ভাইরাল ডিএনএ থেকে মুক্তি দিতে পারে এই ওষুধের একটি ডোজ। তবে এই ওষুধটি এখনো পর্যন্ত ল্যাবেই পরীক্ষা করা হয়েছে। মানবদেহে এর উপরে কোনো পরীক্ষা হয়নি। সুতরাং এই ওষুধটি পার্শ্বপ্রতক্রিয়াহীন কিনা তারা এখনই তা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। তবে তারা আশাবাদী যে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এই ওষুধটি কাজে আসবে।
[ আরো পড়ুন :- কর্মী নিয়োগ ই -কমার্স সংস্থাগুলিতে ]
মোনাশ বায়োমেডিসিন ডিসকভারি ইনস্টিটিউটের অন্যতম গবেষক ডাক্তার ক্যালিয়ে ওয়াগস্টাফের কথায় করোনা এখন মহামারীর পর্যায়ে চলে গেছে। তার কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এমন একটি যৌগ তৈরী করতে হবে যা বিশ্বের সর্বত্র পাওয়া যায়।এই অবস্থায় এনাদের এই গবেষণা করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে অন্যতম একটি ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল বিভাগীয় প্রধান কুনাল রায় মন্তব্য করেছেন যে ভারতীয়দের জিনোমে নির্দিষ্ট একটা আরএনএ রয়েছে যার সাথে লড়াই করা করোনা ভাইরাসের পক্ষে কঠিন। সেই কারণেই ব্রিটেনের মতো অবস্থা ভারতের হয়নি। তিনি জানিয়েছেন যে পরিবেশের আবহাওয়া যদি রৌদ্রোজ্জ্বল হয় তাহলে যে কোনো ধরণের জীবাণুর পক্ষেই সংক্রমণ ছড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।