Bangla News Dunia, জয় রায় :- আমাদের নিত্য দিনে কিছু না কিছু রোগ হয়ে থাকে। তবে যদি আমরা কিছু রোগের টোটকা চিকিৎসা জেনে রাখি তবে অনেক কাজে আসবে।
ম্যালেরিয়া :- চায়ের কাপের আধ কাপ শিউলি পাতার রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে সকাল ও সন্ধ্যায় পর পর ১৫ দিন।
আমাশা :- একটি কাচ কলা বাকলা সহ ৩ থেকে ৪ টুকরো করে দু কাপ জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে রাত্রে। পরদিন সকালে খালি পেটে সেই ঐ জলটা খেতে হবে। ৭ দিনের আমাশা হলে ১ -২ দিন খেলেই ভালো হবেন। পুরোনো আমাশা হলে ৫-৭ দিন খেতে হবে।
অর্শ :- একটা জল পদ্ম পাতার অর্ধেকটা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
বাত :- বড় এলাচের গুঁড়ো ,আধ চামচ মধু সহ খেতে হবে রোজ একবার করে ১ মাস।
আঘাত ও মচকা :- পাকুড় গাছের শেকড়ের ছাল বেটে গরম করে প্রলেপ দিলে কিছুক্ষনের মধ্যে আরাম হয়।
পোড়া :- পুরোন তেতুল ভালো করে জলে গুলে ঐ জল লাগালে ফোস্কা পরে না ও ঘা হয় না।
ব্রণ :- ১০ গ্রাম সাদা সর্ষে এবং ১০ গ্রাম কাঁচা দুধ একত্রে বেটে মুখে মেখে রাখতে হবে অন্তত এক ঘন্টা। এরপর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ভাবে রোজ একবার করে ১৫ দিন মাখতে হবে।
কোষ্ঠ কাঠিন্য :- ১ গ্লাস গরম জলে বা গরম দুধে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি এবং এক চামচ চিনি মিশিয়ে খেতে হবে রোজ রাত্রে শোবার আগে। রোজ খাবার দরকার নেই , প্রয়োজন হলে খেলেই চলবে।
ধাতু দুর্বলতা :- ৫০ গ্রাম মাস কলাই আধ লিটার জলে সিদ্ধ করে ২৫০ গ্রাম হলে নামিয়ে নিতে হবে। ওই জল ঠান্ডা হলে রোজ সকালে খেতে হবে টিফিনের পর। একবার করে অন্তত এক মাস।
সাদা স্রাব :- ২ চামচ দুর্বার রস আধ গ্লাস চাল ধোয়া জলে মিশিয়ে খেতে হবে রোজ একবার করে সকালে টিফিনের পর। ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে উপকার পাওয়া যাবে।
ডায়াবিটিস :- কালো জামের বিচির গুঁড়ো এক চামচ পরিমান করে খেতে হবে দিনে একবার করে ১ মাস অথবা নয়নতারার রস ৪ চামচ করে খেতে হবে দিনে দুবার করে।
টিউমার :- টিউমারের জায়গায় চালতা পাতার রস বেটে প্রলেপ দিলে টিউমার ভালো হয়। নিশিন্দা পাতা ও কচি কদম ছাল চন্দনের মতো বেটে গরম করে টিউমারের জায়গায় প্রলেপ দিলে টিউমার ভালো হয়। তবে এই বাটা কয়েক দিন পর পর দিতে হবে।
ঘামাচি :- শঙ্খের গুঁড়ো মাখলে ঘামাচি মরে যায়। তেজপাতা বেটে গায়ে মেখে আধ ঘন্টা রেখে তারপর ভালো করে গা রগড়ে গোসল করলে ঘামাচি মোর যায়। ঘাম কম হয় ও গা পরিষ্কার থাকে।
চুল ওঠা :- জবা ফুলের করি বেটে মাথায় মাখতে হবে এবার আধ ঘন্টা পর গোসল করতে হবে। এই ভাবে সপ্তাহে দু তিন দিন করে অন্তত ১ মাস মাখতে হবে।
পাতলা পায়খানা :- আধ কাপ পাথর কুচির পাতার রস ও একটু লবন মিশিয়ে খেতে হবে দিনে দু তিনবার করে।
পেট ফাঁপা :- ৫ গ্রাম জোয়ান অ গ্রাম সৌন্ধব লবন একত্রে গুঁড়ো করে গরম জল সহ খেলে পেট ফাঁপা কমে যায়।
রক্ত আমাশা :- ২০ গ্রাম মতো তেলাকচু পাতার রস এবং ৫ গ্রাম মিছরি একত্রে খেতে হবে সকালে খালি পেতে ২ থেকে ৩ দিন।
দাঁতে পোকা :- বকুল গাছের ছাল অথবা পেয়ারা গাছের ছাল ১০০ গ্রাম নিয়ে ৫০০ গ্রাম জলে সিদ্ধ করে ১২৫ গ্রাম হলে নামিয়ে নিতে হবে। ঐ জল দিয়ে দিনে দুবার করে কুলকুচি করলে দাঁতের রোগে উপকার হয়।
টাকপোকা :- অনেকের ধারণা মাথার চুল গুলি তেলাপোকায় কেটেছে। তাই ওই জায়গায় মসৃন হয়েছে , এই ধারণাটা ভুল। ওটা ফাঙ্গাল ইফেকশন। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে এলোপেসিয়া। জবাফুল অথবা ধুতরা পাতা ওই জায়গায় লাগালে আবার চুল উঠবে তবে কিছুদিন পর পর লাগাতে হবে ,
মেদ :- ২ গ্রাম পরিমান সাদা তিল বেটে গরম ভাতের সাথে খেতে হবে রোজ একবার করে ২০ দিন।