Bangla News Dunia, শারদীয়া রায় :- মাসখানেক ধরে সুমেরু অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে দেখা দিয়েছে ছিদ্র যা করোনা আতঙ্কের মধ্যেও চিন্তায় ফেলেছে আবহাওয়াবিদদের মনে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির একদল বিজ্ঞানীর মতে ওজন স্তরে এতো বড় মাপের ছিদ্র হওয়া বেশ ব্যতিক্রমী ঘটনা। সময়ের সাথে এই ছিদ্রের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন। প্রাথমিকভাবে অবিরত চলতে থাকা জলবায়ুর পরিবর্তনকেই এই ঘটনার কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সূর্যের মারাত্মক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে ওজন বলয়। এই স্তর না থাকলে প্রাণিজগতের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে । গর্তের সৃষ্টি হলে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি এসে পর্বে পৃথিবী পৃষ্ঠে। এর ফলে ত্বকের ক্যান্সার ,ছানি ও ছত্রাক ঘটিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
এই ওজোন স্তরের ক্ষত সৃষ্টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মতামত সুমেরুর আকাশে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হঠাৎ খুব কমকে গেছে এর ফলে পোলার ভোর্টেক্স বা মেরু ঘূর্ণাবর্ত অনেকটাই স্থিতিশীল। এই ঘূর্ণাবর্ত যত হয় ওজোন স্তরের বিস্তার ঘটতে থাকে। সেই সঙ্গে সুমেরুর বায়ুমণ্ডলে ক্লোরিন এবং ব্রোমিনের মতো বিষাক্ত কেমিক্যালের উপস্থিতি বেড়েছে যা ওজন স্তরকে বিনষ্ট করে দিতে সক্ষম। স্থিতিশীল মেরু ঘূর্ণাবর্ত এবং বিষাক্ত কেমিক্যালের কারণেই ওজন স্তরে তৈরী হয়েছে ওই বিশাল ছিদ্রের।
[ আরো পড়ুন :- করোনায় রমরমা ব্যবসা নকল ওষুধের ]
তবে এই ঘটনার রেশ কতটা পৃথিবীর আবহাওয়ার উপরে পড়বে কিংবা ছিদ্র কিভাবে হবে তাই নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে পরিবেশবিদদের একাংশ। অন্যদিকে এই নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে অবশ্য আশার বাণী শোনাচ্ছেন কিছু সংখ্যক বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে এখনই আশঙ্কার কিছু নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না ছিদ্রটি বাড়তে বাড়তে সুমেরু থেকে গ্রীনল্যান্ডের দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত চলে আসে ততক্ষন বিপদের সম্ভবনা নেই। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক নিয়মে মিলিয়ে যেতে পারে ছিদ্রটি।