Bangla News Dunia, শারদীয়া রায় :- করোনার থাবায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব যখন লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পথে সেই সময় ইউরোপের তিনটি দেশ লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিলো। এই তিনটি দেশ হলো অস্ট্রিয়া ,ডেনমার্ক এবং চেক রিপাবলিক। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপ। সেখানে ওখানকারই তিনটি দেশ প্রথম সিদ্ধান্ত নিলো এর বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফেরা । সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যেসব কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেগুলি শিথিল করে অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[ আরো পড়ুন :- করোনা আতঙ্কের মধ্যে নোটরহস্য ]
ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রেস্তোরা এবং দোকানপাট খুলবে অস্ট্রিয়া। কাঁচের সামনে দাঁড়িয়ে মুখে মাস্ক পরে ৬ এপ্রিল সংসদদের উদ্দেশ্যে রাখা বক্তব্যে অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর সেবাস্টিন কুর্দজ তুলে ধরেন কিভাবে ধাপে ধাপে লোকডাউন তুলে নিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা সম্ভব। তবে মে মাসের আগে খুলবে না জিম কিংবা রেস্তোরাগুলি। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে ওখানকার স্কুলগুলি। অন্যদিকে ১৫ এপ্রিল স্কুল এবং ডে কেয়ার সেন্টারে গুলিকে খুলে দিতে যাচ্ছে ডেনমার্ক। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্বে আরোপিত বিধিনিষেধ ৯ মার্চ কিছুটা শিথিল করেছে চেক রিপাবলিক। এমনকি তুলে নিচ্ছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও। তবে বাইরে থেকে এই দেশে কেউ এলে বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সারা ইউরোপের মধ্যে এই তিনটি দেশই সবার প্রথমে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাই আপাতদৃষ্টিতে তাদের সবার আগে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার এই চেষ্টা স্বাভাবিক মনে হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সিদ্ধান্ত একটু কি তাড়াতাড়ি নেওয়া হলো ? লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ইউরোপিয়ার পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ মার্টিন ম্যাককি বলছেন এটা আসলে একটা ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।
[ আরো পড়ুন :- লক ডাউনে বন্ধ নেশা , স্বস্তিতে অভিভাবকেরা ]
নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব লেইদেনের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ আর্জেন বয়েন মনে করেন প্রত্যেক দেশই আর্থিক দিক থেকে সুবিধা পাওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। জননায়কদের সামনে এখন দুটি পথের মধ্যে যে কোনো একটিকে বেঁচে নেওয়ার সময় এসেছে। হয় মহামারীর আবার ফিরে আসার আশংকা উড়িয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জনজীবন অব্যাহত রাখা, নয় চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়ানো। এই ধরণের পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন প্রয়োজন প্রচুর বুদ্ধিমত্তার এবং সঠিক সিদ্ধান্তের যা ধীরে নেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।