নাগা সাধুরা আসলে কারা ? কেন পোশাক পরে না ? জানুন অজানা ইতিহাস

Bangla News Dunia , পল্লব : গঙ্গাসাগর মেলায় সাধারণ ভক্তকূলের ভিড় যেমন চোখে পড়ে, তেমনি হাজারো নাগা সাধু, সন্ন্যাসীদেরও উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। গঙ্গাসাগর মেলার তুলনায় কুম্ভ মেলায় নাগা সাধুদের ভিড় দেখা যায় সবচেয়ে বেশি। লাখো লাখো নগ্ন সাধুরা পূণ্যলাভের আশায় হরিদ্বার, বারাণসীর ঘাটে ভিড়ে করেন। শাহি স্নানের প্রত্যাশায় কুম্ভে ডাকসাইটের সাধুরাও এক আখড়ায় থেকে বাস করেন।

সনাতন ধর্মে ঋষি ও সাধুদের ভগবান লাভের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধু-ঋষিদের পোশাক-পরিচ্ছদ ভিন্ন, তাদের বস্তুবাদী ভোগ-বিলাস ত্যাগ করে সত্য ও ধর্মের পথে চলে। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে নগ্ন অবস্থায় দেখা আখড়ায় থাকেন নাগা সাধুরা। সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায়, গায়ে ধুনি বা ছাই মুড়িয়ে ঘুরে বেড়াযন তাঁরা। নাগা মানে ‘নগ্ন’। নাগা সাধুরা সারাজীবন নগ্নই থাকেন। মাথায় বড় জটা, ত্রিশূল, তলোয়ার তাঁদের সঙ্গে থাকে।

আরও পড়ুন : মোদীর আমলে নজির ! একলাফে রেকর্ড ভাঙল শেয়ার বাজার

কেন নাগা সাধুরা কোনও পোশাক পরেন না ? তার কারণ হল, নাগা সাধুরা প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক অবস্থাকে গুরুত্ব দেন। বিশ্বাস করেন যে একজন মানুষ নগ্ন হয়ে জন্মগ্রহণ করে, আর সেটাই স্বাভাবিক। এই অনুভূতিকে আত্মস্থ করে নাগা সাধুরা সবসময় নগ্ন থাকেন। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় যেখানে মানুষের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, সেখানে নাগা সাধুরা দিব্য নগ্ন অবস্থায় ঘুরে বেড়ান। সাধারণত নাগা সাধুরা তিন ধরনের যোগব্যায়াম করে থাকেন। ফলে তীব্র ঠান্ডা মোকাবেলায় তাঁদের শরীর থাকে ফিট ও সুস্থ।

বিজ্ঞান বলে, মানবদেহ এমনভাবে তৈরি, যে যে পরিবেশে শরীরকে ছাঁচে ফেলবেন, সেই অনুযায়ী শরীরও গঠন হবে। এর জন্য একটা জিনিসই দরকার, সেটা হল অনুশীলন। নাগা সাধুরাও তাদের শরীরকে এমন তৈরি করেছেন যাতে অনুশীলনের মাধ্যমে শরীরকে কঠিন করে গড়ে তুলেছেন।

জানা যায়, নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়াটি মোট ১২ বছর সময় লাগে। যার মধ্যে ৬ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই সময়কালে, ধর্ম অনুসারে যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য অর্জন করে। এই সময়ে তারা একটি লেঙ্গোট ছাড়া অন্য কিছু পরেন না। কুম্ভমেলায় ব্রত নেওয়ার পর সেই সামান্য কাপড়ও ত্যাগ করেন। তারপর থেকে সারা জীবন নগ্ন থাকেন।

আরও পড়ুন : রাজনীতি ছাড়ছেন মহারাজা !

আরও পড়ুন : চোর মুক্ত বাংলা গড়ার ডাক দিল বঙ্গ বিজেপি !

নাগা সাধুরা দিনে ৭টি বাড়ি থেকে ভিক্ষা চাইতে পারেন। বাড়ি বাড়ি যদি ভিক্ষা পাওয়া যায় তাহলে ঠিক আছে, না হলে অভুক্ত থাকতে হবে, এমনটাই নিয়ম। তারা সারা দিনে মাত্র একবার খাবার গ্রহণ করেন। নাগা সাধু হল হিন্দু ধর্মীয় সাধু যারা সর্বদা নগ্ন থাকেন, আবার মার্শাল আর্টেও পারদর্শী হোন তাঁরা। আখড়ায় থাকার প্রথা আদিগুরু শঙ্করাচার্য শুরু করেছিলেন।#End

আরও পড়ুন : রাজ্যপাল ‘পদ্মপাল’ ! বেনজির আক্রমণ কুণালের

আরও পড়ুন : কত টাকা ভাতা পান পঞ্চায়েত সদস্যরা ? জানুন সরকারী তথ্য

আরও পড়ুন : ফের আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা করল মোদী সরকার !

আরও পড়ুন : এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের ৭৫ !

আরও পড়ুন : বন্ধ হয়ে যাবে রেশন ! যদি থাকে এই সব জিনিষ

আরও পড়ুন : আদিকাল থেকে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে বহু ধর্ম ! জানুন এমন বৃহৎ ১০টি ধর্ম সম্পর্কে

আরও পড়ুন : পৃথিবী জুড়ে ভয়াবহ জলবায়ু পরিবর্তন ! ধ্বংসের মুখে মানবজাতি

বিশেষ দ্রষ্টব্য :- ” আমাদের কাছে আপনার ও আপনার সময়ের দাম রয়েছে , তাই আমরা আমাদের লাভের জন্য অযথা খবর বড় করি না , আমরা দিয়ে থাকি আপনাদের পয়েন্টের খবর। যাতে আপনার সময় নষ্ট না হয়। আমাদের এই শর্ট নিউজ আপনাদের কেমন লাগছে তা নিচে কমেন্টে জানান। যদি এই রকম শর্ট নিউজ আরো বেশি করে দেখতে চান তবে like করুন ও কমেন্টে YES লেখে আমাদের জানান। আর অবশই আমাদের পাশে থাকতে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন।” ‘ধন্যবাদ’

আরো পড়ুন :- BIG NEWS: এবার আধার-রেশন কার্ড লিঙ্ক করা যাবে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে

আরও পড়ুন : মন্দিরে নিষিদ্ধ RSS ! জোর বিতর্ক

আরও পড়ুন : মহিলাদের ‘ব্যাংক একাউন্টে’ টাকা পাঠাবে মোদী সরকার !

এই রকম আরো খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন