ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে কেমন হবে শাস্তি ? নয়া কানুন আনল মোদী সরকার

Bangla News Dunia , পল্লব : ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় আমূল বদল আসতে চলেছে। রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল করার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। গণপিটুনির ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। শুক্রবার লোকসভায় তিনটি বিল এনেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি জানান, “জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে যে কোনও কারণেই হোক না কেন পাঁচ জন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ যদি গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে কাউকে হত্যা করে সেক্ষেত্রে প্রত্যেকেই শাস্তি পাবে। পাশাপাশি দোষী প্রমাণিত হতে জরিমানাও ধার্য্য করা সম্ভব।”

আরো পড়ুন: গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চায়েত শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি !

WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন

1.;প্রস্তাবিত বিল পাশ হলে ধর্ষণে দোষীদের কমপক্ষে দশ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হবে। শাস্তির মেয়াদ বাড়তে পারে যাবজ্জীবন পর্যন্ত। গণধর্ষণের অপরাধে কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

2? কোনও ১২ অনুর্ধ্বকে ধর্ষণ করার ন্যূনতম শাস্তি ২০ বছরের জেল। পাশাপাশি সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। নাবালিকাকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড।

1. নতুন বিলটি IPC-র ৩৭৭ ধারাকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দিতে পারে। এই ধারায় কোনও মহিলা, পুরুষ বা প্রাণীর সঙ্গে ‘প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে’ যৌনক্রিয়াকে অপরাধ বলে বিবেচনা করা হত।

2. এই বিলে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে শুধুমাত্র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা যাবে এবং যাবজ্জীবনের শাস্তি কাউকে দেওয়া হলে তার মেয়াদ সাত বছর উত্তীর্ণ হলেই শাস্তি মাফ সম্ভব।

আরো পড়ুন :- সিপিএমকে বাদ দিয়েই ময়দানে নামছে ‘নেতাজির দল” !

1. সংগঠিত অপরাধ’ এবং ‘আন্তর্জাতিক গ্যাং’-এর ক্ষেত্রেও আইন কঠোর করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

2. একদিন পর্যন্ত ‘কমিউনিটি সার্ভিস’ বা সেবামূলক কাজ শাস্তি হিসেবে দেওয়া হত না। কিন্তু, এই বিলগুলিতে কমিউনিটি সার্ভিসের কথা উল্লেখ রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ছোট কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে কমিউনিটি সার্ভিস শাস্তি হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। #End

আরো পড়ুন :- লোকসভায় মোদীর ঘুঁটি ‘অধীর’ ! তছনছ মমতা-সহ বিরোধী জোট

আরো পড়ুন: বিজেপির হেভিওয়েট মহিলা মন্ত্রীর দিকে ‘উড়ন্ত চুমু’ ! সংসদে অশ্লীল রাহুল গান্ধী